বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কর্মসমিতির (ইসি) বৈঠক স্থগিত হয়ে গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েও। বুধবার উপাচার্যের ঘরে ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইসি-র সদস্যদের মৌখিক ভাবে বৈঠক স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিয়েছে, স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় এখন তাদের অনুমতি ছাড়া ইসি বৈঠক ডাকা বেআইনি।
একই কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও শুক্রবার ইসি বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। তার ফলে সেখানে আসন্ন সমাবর্তনে সাম্মানিক ডি লিট এবং ডিএসসি দেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইসি বৈঠক স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন কাজে সমস্যা তৈরির আশঙ্কা করছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের অনেকেও।
তাঁদের দাবি, এর ফলে বিভিন্ন বিভাগের কয়েক কোটি টাকার বিল পড়ে থাকবে। পরীক্ষা
নিয়ামক দফতরের কাজ নিয়ে একটি সংস্থা বারবার বিল পাঠাচ্ছে। তা না মেটালে আর কাজ না করার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই বিষয়েও কোনও সমাধান করা মুশকিল হবে।
ছাত্রাবাসের জন্য সাফাইকর্মী নিয়োগ, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কাজের মজুরি নিয়ে সিদ্ধান্ত, নানা সিমেস্টারের পরীক্ষাসূচির অনুমোদন, উত্তরপত্রের কাগজ কেনার দরপত্রের প্রক্রিয়া— নানা কাজ আটকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের দাবি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য গৌতম চন্দ্র শনিবার শুধু এটুকুই বলেন, “ইসি-র বৈঠক আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই ব্যাপারে আমি কথা বলছি।”