কলকাতার সঙ্গে হাওড়াকে জুড়তে চলেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। এই রুটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হাওড়া মেট্রো স্টেশনের কাজ প্রায় শেষের পথে।
কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার তুষার আচার্য জানিয়েছেন, স্টেশনের কাজ শেষ হলে প্রথমে মেট্রোর রেক দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হবে। পরীক্ষা সফল হলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকেই চালু হবে কলকাতা-হাওড়া মেট্রো পরিষেবা।
হাওড়ার সঙ্গে মেট্রো পথে কলকাতাকে জোড়ার ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তিনি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। গঙ্গার নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গ পথে হাওড়াকে যে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত করা যাবে, সেই প্রকল্পের ঘোষণাও করেছিলেন মমতা-ই।
কার্যক্ষেত্রে অবশ্য ইস্ট-ওয়েস্ট রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। বোরিং মেশিন দিয়ে গঙ্গার প্রায় ১৫ মিটার নীচ দিয়ে দু’টি সুড়ঙ্গ তৈরি হয়। একটির নাম রচনা। অন্যটির নাম প্রেরণা। প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ টানেল দু’টি গঙ্গার নীচ দিয়ে গিয়ে ওঠে বড়বাজার এলাকায় ।
সুড়ঙ্গের কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে। এরপর স্টেশন তৈরির কাজ শুরু করে কেএমআরসিএল। যা এখন প্রায় শেষের পথে।
মূল কাজ প্রায় শেষ। আপাতত স্থাপত্য সংক্রান্ত চলছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের বেশ কিছু কাজও বাকি রয়েছে। সেই কাজই চলছে এখন।
কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, হাওড়া মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের জন্য চারটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। হাওড়ায় দৈনিক যাত্রীর সংখ্যা বেশি থাকবে বলেই এই ব্যবস্থা। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকলে যাত্রীরা দু’দিক দিয়েই ওঠানামা করতে পারবেন।
মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার রুখতে প্ল্যাটফর্মে স্ক্রিনিং ডোর বসানো হয়েছে। ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর তবেই এই দরজা খুলবে। যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করা হবে সেন্সর সিস্টেমের মাধ্যমে।
এশিয়ার মধ্যে হাওড়া মেট্রো স্টেশনটি মাটির সব থেকে নীচে। যার দৈর্ঘ্য ১১০ মিটার, প্রস্থ ৬৫ মিটার এবং গভীরতা ৩৩ মিটার।
মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের ওঠানামার জন্য থাকবে ৩৩টি এসক্যালেটর এবং সাতটি লিফ্ট। এ ছাড়াও ২০০ ধাপের চওড়া সিঁড়ি থাকবে যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য। নিরাপত্তার কথা ভেবে ১২টি ফায়ার এক্সিটও রাখা হয়েছে স্টেশনে।