—প্রতীকী চিত্র।
যুবতী খুনের ঘটনায় সমাজমাধ্যমে ভুয়ো প্রচারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। শনিবার সে জন্য বিশেষ সেল গঠন করেছে পুলিশ। ৭ জনকে নোটিসও পাঠানো হয়েছে। এ দিন বর্ধমানের নান্দুর গ্রামে খুন হওয়া যুবতীর বাড়িতে যান আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী, ডিওয়াইএফ নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়েরা। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
বুধবার রাতে নান্দুর ঝাপানতলায় বাড়ির কাছে খুন হন প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা (২৫)। জেলা পুলিশ তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে। পুলিশের ধারণা, প্রিয়াঙ্কার পরিচিত কেউ খুনে জড়িত। ভিন্ জেলার বাসিন্দা এক বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি চলছে। জেলা পুলিশ সূত্রের দাবি, বুধবার ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে যাওয়া বর্ধমানের এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে, যা সম্পূর্ণ ভুয়ো। নান্দুরের ঘটনা নিয়েও নানা অপপ্রচার চলছে। জেলা পুলিশ সমাজমাধ্যমে এর বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “ভুয়ো প্রচার রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মূল মাথাদের খুঁজে নোটিস দিতে বলা হয়েছে।”
আততায়ী এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান ওই এলাকার মহিলাদের অনেকে। যুবতীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নওসাদের দাবি, “শান্তিপূর্ণ গ্রামে কেন আতঙ্ক, তা বার করতে হবে পুলিশকে। পরিবার চাইলে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যাব।” বিজেপির এসটি সেলের রাজ্য সভাপতি জুয়েল মুর্মুর অভিযোগ, “পুলিশ এখানেও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে।” তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু বলেন, “আমরা পরিবারটির পাশে রয়েছি। আমরা চাই, তারা বিচার পাক। কিন্তু কিছু লোকজন বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছে।”