শুভেন্দু অধিকারী এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে রাজ্য সরকার কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) আবেদন করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে শুক্রবার এই মর্মে চিঠিও দিয়েছেন শুভেন্দু। এরই পাশাপাশি এ বার বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তহবিলের টাকা এ দিক-ও দিক করা নিয়ে হইচই হতেই ‘তথ্য-প্রমাণ নষ্ট’ করার জন্য রাজ্যের অর্থ দফতরের ই-অফিস সার্ভার পুজোর ছুটিতে ‘ডাউন’ রাখা হচ্ছে। রাজ্যের অর্থ দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অবশ্য বিরোধী দলনেতার অভিযোগের ‘বাস্তবতা’ নেই বলে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে পুজোর ছুটির সময়ে।
অর্থ দফতরের এক বিশেষ সচিবের জারি করা নির্দেশিকা দেখিয়ে শুভেন্দু এ দিন অভিযোগ করেছেন, ‘‘টুইটে অভিযোগ করতেই রাজ্য সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছে! তারা এখন মরিয়া হয়ে প্রমাণ নষ্ট করতে চাইছে। অর্থ দফতরের ই-অফিস সার্ভার ৬ দিন ডাউন রাখার নির্দেশিকা আসলে প্রমাণ লোপাটের অজুহাত!’’ তাঁর দাবি, এই ‘ডাউন টাইম’ চলাকালীন রাজ্যের অর্থ দফতরের আধিকারিকেরা স্পর্শকাতর ফাইল ও অন্যান্য তথ্য মুছে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যাতে উচ্চপদস্থ কোনও আধিকারিককে নজরদারির দায়িত্ব দেয়, সেই দাবিও তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর মতে, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ রাজ্য সরকারকে হাতে-নাতে ধরার জন্য তাদের ‘অবৈধ কাজকর্মে’র উপরে নজর রাখা উচিত।
রাজ্যের অর্থ দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘সার্ভার ৫দিনের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। কারণ, এটা পুজোর ছুটির সময়। যাতে অফিস খুললেই পুরো দমে কাজ করা যায়। ফলে, ওঁর অভিযোগের কোনও বাস্তবতাই নেই। এখন ওঁর মা দুর্গাকে নিয়ে ভাবা উচিত!” সীতারামনকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি শুভেন্দু জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থ রাজ্য কী ভাবে অপব্যবহার করছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য তিনি পুজোর পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে তুলে দেবেন। এই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমার মন্তব্য, ‘‘উনি অর্থনীতির কিছুই বোঝেন না! কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকতে চান। এ ভাবে এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার যে করা যায় না, সেটা ওঁর বোঝা বা জানার দরকার। তাই তাঁর আরটিআই-ও বোকা বোকা! যার জবাব দেওয়ার কোনও মানে হয় না। তবুও আইন মেনে যা করার, তা-ই হবে।’’