রবিবার ব্রিগেডের ভিড়। ছবি: ফেসবুক।
বক্তৃতায় নেতানেত্রীরা প্রায়ই ভুল বলেন। ইদানীং সে সব নিয়ে সামাজমাধ্যমে নানাবিধ মস্করা, আলোচনাও হয়। তেমনই রবিবার বাম যুবদের সমাবেশে তিন বক্তার মুখ থেকে তিনটি ভুল শুনল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। তবে একটি ক্ষেত্রে এ-ও দেখা গেল, ভুল বলে তা স্বীকার করা। যা সচরাচর দেখা যায় না রাজনৈতিক মঞ্চে।
ধ্রুবজ্যোতি সাহা। ছবি: ফেসবুক।
ধ্রুবজ্যোতি সাহা
ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি নিজের বক্তৃতার শেষে সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘বোধন’ কবিতাটি আংশিক উদ্ধৃত করেন। তাতে ছিল, ‘‘আদিম হিংস্র মানবিকতার আমি যদি কেউ হই, স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই।’’ কিন্তু ধ্রুব সব ঠিক বললেও ‘শ্মশান’-এর বদলে ‘মহাশ্মশান’ বলে ফেলেন। যা অনেকেরই কানে লেগেছে।
আভাস রায়চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক।
আভাস রায়চৌধুরী
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর এই সদস্যের বক্তৃতা ছিল একেবারে ধ্রুপদী বাম ঘরানার। তবে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলকে একসঙ্গে ‘চোর’ বলে আক্রমণ শানাতে গিয়ে এমন একটি শব্দ ব্যবহার করেন, যা প্রকাশ্যে কোনও রাজনীতিকেরই বলা সমীচীন নয় বলে অনেকের মত।
মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
তাঁর নামেই, তাঁর মুখকে সামনে রেখেই রবিবার ব্রিগেডে সমাবেশ করে বাম যুব সংগঠন। তবে বক্তৃতায় মাঠ মাতালেও একেবারে শেষে নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা উদ্ধৃত করতে গিয়ে লাইন গুলিয়ে ফেলেন মিনাক্ষী। তার পর নিজেই বলেন, ‘‘ভুলে গেছি।’’ সে উচ্চারণে কোনও শঠতা ছিল না। যা রাজনৈতিক মঞ্চে খুব একটা দেখা যায় না বলেই মত অনেকের। সভার শেষ বক্তা ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম। তিনি শুরুই করেন মিনাক্ষীর ভুল স্বীকার দিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘কেউ ডহরবাবুকে খোঁজেন। কিন্তু ভুল স্বীকার করেন না। আর মিনাক্ষী সেটা করল। এটাই ফারাক।’’ মিনাক্ষীকে যে ভাবে আড়াল করলেন সেলিম, তা-ও সিপিএমের দুই প্রজন্মের ‘ঐক্য’ তুলে ধরেছে। অভিভাবক হিসাবে পাশে দাঁড়ানোর মতোই ছিল গোটা বিষয়টি।