—প্রতীকী ছবি।
৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। কিন্তু ১০ ডিসেম্বরও প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলেনি ফোর্ট উইলিয়ামের তরফ থেকে। ফলে ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষে যে সমাবেশের পরিকল্পনা নিয়েছে ডিওয়াইএফআই, তা নিয়ে সংশয়ের চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে সংগঠনের মধ্যে।
সিপিএমের যুব নেতৃত্ব অবশ্য এখনও প্রকাশ্যে এই সংশয়ের কথা স্বীকার করছেন না। যুব সংগঠনের কলকাতা জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পৌলবী মজুমদার বলেন, ‘‘অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছি। নির্দিষ্ট দিনে ব্রিগেডেই সমাবেশ হবে।’’ তবে অনেক যুব নেতাই ঘরোয়া আলোচনায় জানিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘বিষয়টা আর আমাদের ছোটদের হাতে নেই। বড়রা এ বার দেখছেন।’’ বড়রা কারা? তাঁদের বক্তব্য, পার্টির নেতারা। সূত্রের খবর, ব্রিগেডে সভার অনুমতির জন্য দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারাই।
কেন অনুমতি মিলছে না?
ডিওয়াইএফআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর তরফে তাদের জানানো হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের মহড়া কুচকাওয়াজ রয়েছে ৭ জানুয়ারি। তা হবে রেড রোড এবং ব্রিগেডে। সেই অনুষ্ঠানে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আবার ওই দিনেই রয়েছে কলকাতা পুলিশের ম্যারাথন দৌড়। সিপিএমের যুব সংগঠনের তরফে সভা শুরুর সময় কিছুটা পিছিয়ে, মঞ্চের দিক বদল করার কথা উল্লেখ করে নতুন আবেদন জমা দেওয়া হয়। তার পরেও অনুমতি মেলেনি। কয়েক দিন আগে ফোর্ট উইলাম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডিওয়াইএফআইয়ের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। ময়দান সেনাবাহিনীর হাতে। শুধু ব্রিগেড নয়, সমাবেশে যে গাড়ি আসবে তা রাখতেও ময়দান ব্যবহার করার অনুমতি লাগবে সেনার থেকে।
সিপিএম নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, জেলায় জেলায় ইতিমধ্যেই কর্মীসমর্থকদের আনার জন্য বাস, লরি, অন্যান্য যানবাহন বুক করা হয়ে গিয়েছে। ফলে দিন বদল করা মুশকিল। আবার ব্রিগেডে জমায়েতের যে অভিঘাত রয়েছে, তা অন্য কোনও জায়গায় নেই। ফলে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা নিয়ে এখনও সন্দিহান সিপিএম ও যুব সংগঠনের নেতৃত্ব।