রাজ্যের দাবি মেনে জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি

মঙ্গলবার থেকেই মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে টানা ১০ দিন জল ছাড়ার কথা। প্রতি দিন ১২,৫০০ একর ফুট করে সেচের জল দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজদস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩৩
Share:

ফাইল চিত্র।

গত দু’মাস ধরে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির আকাল চলছেই। জলের অভাবে বহু জেলাতেই সব জমিতে চাষের কাজ সময়ে শুরু করা যায়নি বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের দাবি মেনে, খরিফ মরসুমের সেচের জন্য প্রথম ধাপে জল ছাড়ছে ডিভিসি। সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবার থেকেই মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে টানা ১০ দিন জল ছাড়ার কথা। প্রতি দিন ১২,৫০০ একর ফুট করে সেচের জল দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বর্ধমান, হুগলির মতো কৃষি প্রধান জেলাগুলিতে জলের অভাব কিছুটা মিটতে পারে।

উত্তরবঙ্গ জুড়ে টানা বৃষ্টিপাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিক বর্ষার দেখা মেলেনি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ।

Advertisement

ফলে জেলাগুলিতে খরিফ চাষ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে প্রতিটি জেলা থেকে চাষের হাল-হকিকত সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করাও শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

পাশাপাশি সেচের জল ছাড়ার আর্জি নিয়ে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সম্প্রতি প্রশাসনের কর্তারা বৈঠকে বসেন। ওই আলোচনার পরেই ডিভিসি-র জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া বা ধরে রাখার ব্যাপারে যে নিয়ন্ত্রক কমিটি রয়েছে, তাদের নির্দেশিকা মেনে ওই পরিমাণ জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্য প্রথম ধাপে কম-বেশি ৭০,০০০ একর ফুট সেচের জল ছাড়ার কথা বলেছিল।

বৃষ্টির আকাল চললেও, মাইথনে ৪৫৯.৮১ ফুট ও পাঞ্চেতে ৪০৩.০৮ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জল রয়েছে। ডিভিসি-র কর্তাদের একাংশের দাবি— বৃষ্টিপাতের ঘাটতি থাকলেও, এই জল যথেষ্ট। তাই শিল্প-সহ অন্য ক্ষেত্রের চাহিদা মিটিয়েও সেচের জলের অভাব হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement