dvc

DVC: জল ছাড়া নিয়ে রাজ্যকে বার্তা ডিভিসি কর্তৃপক্ষের

ডিভিসি কর্তারা জানিয়েছেন, এ বার এখনও পর্যন্ত বর্ষা কম হওয়ায় জলের অভাবে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট উপত্যকা এলাকায় কৃষিকাজ বাধা পাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২২ ০৬:৩৪
Share:

কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা জল ছাড়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেন না। ফাইল ছবি

দামোদর উপত্যকায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য অনেক সময়ই বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়াকে দায়ী করে ডিভিসি-র বিরুদ্ধে আঙুল তোলে রাজ্য। সোমবার সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা জল ছাড়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেন না। কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি ডিভিসি-র মতো সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে গঠিত কমিটি (ডিভিআরআরসি) কখন কতটা জল ছাড়া হবে ঠিক করে। সংস্থা তা পালন করে মাত্র।

Advertisement

ডিভিসি কর্তারা জানিয়েছেন, এ বার এখনও পর্যন্ত বর্ষা কম হওয়ায় জলের অভাবে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট উপত্যকা এলাকায় কৃষিকাজ বাধা পাচ্ছে। তাই ২২ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৭০ হাজার একর ফুট এলাকার সমতুল জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিভিসি চেয়ারম্যান রাম নরেশ সিংহ বলেন, ‘‘সংস্থার সাতটি জলাধার তৈরি করার পরিকল্পনা থাকলেও জমি অধিগ্রহণের সমস্যায় চারটি হয়েছিল। ফলে সাতটিতে যেখানে মোট ১৯.৫০ লক্ষ ঘন মিটার জল ধরার কথা, সেখানে চারটি ধরতে পারে ১০.৪ লক্ষ ঘন মিটার। উপরন্তু তৎকালীন বিহার সরকার তেনুঘাট বাঁধের জলাধার করতে না পারায় সেই জল পশ্চিমবঙ্গে বাহিত হয়। অন্য দিকে আবার, বাঁধের জলাধারের সুরক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই যতটা জল ধরে রাখলে তার ক্ষতি হবে না, ততটাই থাকছে কি না খেয়াল রাখা হয়। সেই পরিস্থিতি বুঝে কতটা জল কখন ছাড়া হবে, তা স্থির করে ডিভিআরআরসি।’’

দামোদরে এসে পড়া খাল-নালা এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের ড্রেজিংয়ের দায়িত্বও রাজ্যের, দাবি ডিভিসি কর্তাদের। তবে তাঁদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই কাজ করছে। দামোদর উপত্যকায় পুনর্বাসন এবং উন্নয়নের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছে রাজ্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement