ডিটেনশন সেন্টারে সপরিবার উমা। পুজোর থিমে এনআরসি বিতর্ক। বেহালার বড়িশা ক্লাবে । ছবি: সুমন বল্লভ।
রাজ্যের সেরা পুজোগুলিকে সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর শুরু করেছিল ‘বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান’। সোমবার ঘোষিত হল ২০২১ সালের সেরা পুজোর তালিকা।
কলকাতার মোট ১০৩টি পুজো কমিটির নাম রয়েছে সেই তালিকায়। ‘সেরার সেরা’, ‘সেরা মণ্ডপ’, ‘সেরা প্রতিমা’, ‘সেরা আলোকসজ্জা’, ‘সেরা বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডিং’, ‘সেরা ভাবনা’, ‘সেরা সাবেকি পুজো’, ‘বিশেষ পুরস্কার’, ‘সেরা কোভিড ওয়ারিয়র্স’, ‘সেরা কোভিড সচেতনতা’, ‘সেরা আলোকসজ্জা’-সহ মোট ১৩টি বিভাগে সেরা পুজো কমিটিগুলিকে বেছে নিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
বালিগঞ্জের একটি মণ্ডপের প্রতিমা। ছবি পিটিআই।
‘সেরা কোভিড ওয়ারিয়র্স’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে আলিপুর বডিগার্ড লাইনস অ্যাসোসিয়েশনের পুজোকে। ‘সেরার সেরা’ পুজোর তালিকায় রয়েছে বড়িশা ক্লাব, বাবুবাগান, চক্রবেড়িয়া, হিন্দুস্তান ক্লাব সর্বজনীন দুর্গাপুজা কমিটি, চেতলা অগ্রণী, ত্রিধারা, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, টালা প্রত্যয়, সুরুচি সঙ্ঘ, একডালিয়া এভারগ্রিন-সহ মোট ২৫টি পুজো।
হাজরার একটি মণ্ডপে সাবেকি প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র।
‘সেরা মণ্ডপ’ বিভাগে পুরস্কৃত রাজডাঙা নব উদয় সঙ্ঘ-সহ মোট পাঁচটি পুজো। ‘সেরা প্রতিমা’-র জন্য কলেজ স্কোয়ার, বেহালা নতুন দল, সিংহী পার্ক-সহ পাঁচটি পুজো পুরস্কৃত হয়েছে। টালা বারোয়ারি ও আদি বালিগঞ্জ পেয়েছে ‘সেরা সাবেকি পুজো-র শিরোপা। ‘সেরা আলোকসজ্জা’ বিভাগে পুরস্কৃত শিকদার বাগান, সাধারণ দুর্গা উৎসব-সহ তিনটি পুজো।
সঙ্ঘশ্রী, চোরবাগান, অজেয় সংহতি সহ মোট ন’টি পুজো পেয়েছে ‘সেরা ভাবনা’-র পুরস্কার। ‘সেরা বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডিং’-এর পুরস্কার পেয়েছে সন্তোষপুর লেকপল্লি, আহিরীটোলা যুবকবৃন্দ-সহ পাঁচটি পুজো। ‘কোভিড সচেতনতা’ পুরস্কার পেয়েছে ১০টি পুজো। যার মধ্যে রয়েছে কসবা বোসপুকুর শীতলা মন্দির, সল্টলেক এ কে ব্লক। ‘বিশেষ পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছে ১৮টি পুজো। ‘সেরা ঢাকেশ্বরী’ পুরস্কার পেয়েছে দু’টি পুজো— হাতিবাগান নবীন পল্লি এবং অগ্রদূত উদয়ন সঙ্ঘ।