ফাইল চিত্র।
উৎসব শুরু হতে মাসাধিক কাল বাকি। কিন্তু এখন থেকেই পুজো নিয়ে উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতির উপরে জেলা প্রশাসনগুলিকে নজর রাখতে হবে বলে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বুধবার জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, করোনা বিধি যাতে যথাযথ ভাবে মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টির উপরে সতর্ক নজর রাখতে হবে সব জেলা প্রশাসনকে।
কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গের রক্তচক্ষুর মধ্যেই আগামী মাসে শুরু হয়ে যাবে উৎসবের মরসুম। গত বছর দীর্ঘ লকডাউনের দরুন কিছুটা ভীতি থেকেই পুজোর সময় রাস্তায় সে-ভাবে মানুষের ঢল দেখা যায়নি। কিন্তু এ বছর টিকাকরণ চলছে। তার উপরে লকডাউনের নিয়ন্ত্রণ না-থাকায় পরিস্থিতি কিছুটা যেন গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই আসন্ন পুজোর মরসুমে মানুষকে কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, সেটা এখন প্রশাসনিক কর্তাদের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। তিন দিক খোলা পুজোর মণ্ডপ, সেখানে জীবাণুনাশের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত মাস্ক ও হাতশুদ্ধি প্রস্তুত রাখা, ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যারিকেড পরিকল্পনা— সবই এখন থেকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনগুলিকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে যে-বার্তা দিয়েছেন, সব জেলা প্রশাসনকে এ দিন তা শোনানো হয়। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে তাদের। গত বছর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল প্রশাসন। মনে করা হচ্ছে, মিনি ভোট পর্ব মিটে গেলে গত বছরের সেই সব বিধি পরিমার্জন করে একটি সার্বিক নির্দেশিকা প্রকাশ করবে সরকার। দর্শক থেকে উদ্যোক্তা— সকলকেই মানতে হবে সেই বিধি।