নজর: ভুটান সীমান্তে জয়গাঁয় কর্তব্যরত আধিকারিকেরা। শুক্রবার। ছবি: নারায়ণ দে
স্বাস্থ্যকর্মীরা তো রয়েইছেন। সেইসঙ্গে রয়েছেন এসএসবি জওয়ান থেকে শুরু করে সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার। এমনকি, সিভিক পুলিশের হাতেও ইনফ্রা-রেড থার্মোমিটার। রাজার দেশের সীমান্ত পেরিয়ে যাঁরাই এদেশে ঢুকছেন, সবাইকে দাঁড় করিয়ে কপালের কাছে সেই থার্মোমিটার ধরা হচ্ছে। মাপা হচ্ছে তাপমাত্রা। করোনাভাইরাস নিয়ে চারিদিকে আতঙ্ক ছড়ানোর পর এমনই ছবি দেখা গেল আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁর ভুটান সীমান্তে। সীমান্তের এপার-ওপার দু’দিকেই চলছে এই স্ক্রিনিং। তবে এই সতর্কতার মাঝেই দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ি চলছে। শুধু ওপারে ফুন্টশেলিংয়ের পর পর্যটকদের আর ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
দেশে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরই ভুটানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক মার্কিন পর্যটকের সন্ধান মেলে। এর জেরে সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ার জেলাতেও আতঙ্ক ছড়ায়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ডের পাশাপাশি তপসিখাতা আয়ুষ হাসপাতালকে আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। ভুটান সীমান্তেও কড়া নজরদারি ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
একই ভাবে ভুটানের ফুন্টশেলিং শহরেও একই ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালাচ্ছে সে-দেশের স্বাস্থ্য দফতর। এই মুহূর্তে পর্যটকদের ভুটানে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে দু’দেশের মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ি চলছে। থানার পাশে ভুটান গেট দিয়েই পণ্যবাহী বা ছোট গাড়ি ঢুকছে বেরোচ্ছে। পাশাপাশি বউবাজার এলাকার নতুন গেট দিয়ে পণ্যবাহী বা অন্য গাড়িগুলি শুধু প্রবেশ করে। অন্যদিনের মতো এ দিনও নতুন গেট দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি ও ছোট গাড়ি ভুটানে যেতে দেখা যায়। ভুটান গেট দিয়ে বিভিন্ন পণ্যবাহী ও ছোট গাড়িকে যাতায়াত করতে দেখা গেল। তবে ফুন্টশেলিংয়ে কোনও গাড়ি ঢুকতেই চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে। এপারে কেউ গাড়ি নিয়ে এলে তাঁর ক্ষেত্রেও একই কাজ করা হচ্ছে। পায়ে হেটে জয়গাঁ থেকে ভুটানে ঢোকা কিংবা ভুটান থেকে আসার ক্ষেত্রে আলাদা দু’টি আলাদা গেট রয়েছে। সেই দুই পথেও চলছে পরীক্ষা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে তিনটি শিফটে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে এসএসবি জওয়ান, সিভিল ডিফেন্স ও সিভিক ভলান্টিয়াররা এই সীমান্তে ডিউটি করছেন।
আলিপুরদুয়ারের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, ‘‘মূলত স্বাস্থ্যকর্মী ও সিভিল ডিফেন্সের ভলান্টিয়ারদের ওই পরীক্ষা করার কথা। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ট্র্যাফিক দেখার কথা। তবে এত মানুষকে পরীক্ষা করতে গিয়ে কেউ কেউ খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লে হয়তো সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁদেরকে সাহায্য করছেন।’’