শনিবার ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ফাইল চিত্র।
‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবিরে মহিলা উপভোক্তাদের হাজিরা নিয়ে আশ্বস্ত রাজ্য সরকার। শনিবার ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কর্মসূচির উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। তাতে একেবারে বুথ স্তর পর্যন্ত শিবিরগুলি পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই পদক্ষেপে সাড়া মিলছে বলে এ দিন দাবি করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। এ দিন মোট ১৫ হাজার ১৩২টি শিবিরে প্রায় ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার মানুষ যোগাযোগ করেছিলেন। মোট শিবির সংখ্যার মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার ছিল ভ্রাম্যমাণ।
এ বারের কর্মসূচিতে চারটি নতুন পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করে রাজ্য। তার মধ্যে বিধবা-পেনশন, ভবিষ্যৎ ঋণ কার্ড, ওবিসি-পড়ুয়াদের বৃত্তি মেধাশ্রী এবং অতিক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থার প্রকল্প রয়েছে। রাজ্যের দাবি, পেনশন এবং ভবিষ্যৎ ঋণ কার্ডের ব্যাপারে উপভোক্তাদের বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এ দিন বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত বিধবা পেনশন পেতে ২১ হাজার এবং ভবিষ্যৎ ঋণ কার্ডের জন্য সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি উপভোক্তা আবেদন করেছেন। বাকি দু’টি প্রকল্পেও বেশ কিছু সংখ্যক আবেদন গ্রহণ করেছে রাজ্য।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, পঞ্চম দফার দুয়ারের সরকার হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ষষ্ঠ দফার কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। তার অন্যতম কারণ, পঞ্চায়েত ভোট। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, তাই এ বারের কর্মসূচির উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। ৪৪ জন আইএএস অফিসারকে বিভিন্ন জেলার দুয়ারে সরকার নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য। অভিযোগ গ্রহণ থেকে পরিষেবা নিশ্চিত করা— সব ক্ষেত্রেই আধিকারিকদের কার্যত দায়বদ্ধ করা হয়েছে।
এ দিন বিকেলে মুখ্যসচিব বলেন, “মহিলাদের শিবিরে ভাল উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে আবেদনকারী সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। চালু ব্যবসায় অনেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসাবে এই ঋণ পেতে চাইছেন। আবার অনেকে নতুন কিছু শুরু করতে চান। আমরা প্রত্যেকের চাহিদা নিশ্চিত করতে পারছি, এটাই আনন্দের।”