নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছ থেকে সেরার শিরোপা আদায় করে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। শনিবার সকালে নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
২০২২ সালের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ পুরস্কারের ‘পাবলিক প্ল্যাটফর্ম’ বিভাগে প্ল্যাটিনাম পুরস্কার পেল মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। দেশের ৮০০টি প্রকল্পের মধ্যে সেরা প্রকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়েছে এটি।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে আগেই একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই পুরস্কারের ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। অর্থ বরাদ্দ-সহ নানা কারণে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে রাজ্যের অহরহ সংঘাতের আবহে এই স্বীকৃতি অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পর মমতার দলের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর পরামর্শে পরের বছর ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। এই মাধ্যমে স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, তফসিলি জাতি, আদিবাসী এবং ওবিসিদের শংসাপত্র প্রদান, কৃষক বন্ধু, তফসিলি বন্ধু পেনশন প্রকল্প, মানবিক প্রকল্প-সহ নানাবিধ সরকারি পরিষেবা দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
নবান্ন সূত্রে খবর, বর্তমানে বাংলায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির পঞ্চম পর্ব চলছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এর ৩.৬ লক্ষ শিবির হয়েছে। একই ছাতায় তলায় বিভিন্ন ধরনের সরকারি পরিষেবা পেয়েছেন ৬.৬ কোটি মানুষ। রাজ্যের প্রান্তিক এবং আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষের জন্য বিশেষ দুয়ারে সরকার এবং ভ্রাম্যমাণ শিবিরও চালু করেছে মমতার সরকার।