দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর। নিজস্ব চিত্র।
চালু হয়ে গেল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। রাজ্যের ১০ কোটির বেশি মানুষ এই পরিষেবায় সরাসরি উপকৃত হবেন বলে নবান্ন সূত্রে দাবি।
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সূচনা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেশন ডিলাররা গাড়ি কিনলে এক লক্ষ টাকা অনুদান দেবে রাজ্য। প্রতি ৫০০ মিটার অন্তর দাঁড়াবে রেশনের গাড়ি। সহজে মানুষের হাতে রেশন তুলে দিতে ডিলাররা দু’জন করে কর্মী নিয়োগ করতে পারবেন। তাঁদের বেতনের অর্ধেক দেবে রাজ্য সরকার।
রাজ্যে শুরু হয়ে গেল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে ১০ কোটির বেশি পরিবারের দুয়ারে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি করে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল, কী ভাবে পৌঁছবে রেশন সামগ্রী? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মানুষের ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেশন ডিলাররা গাড়ি কিনতে পারেন। সে ক্ষেত্রে গাড়ি কিনতে এক লক্ষ টাকা করে অনুদান দেবে রাজ্য সরকার।
এখন রেশন ডিলাররা কোনও লোক নিয়োগ করতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। এ বার থেকে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের জন্য প্রত্যেক রেশন ডিলার দু’জন করে লোক নিয়োগ করতে পারবেন। তাঁদের বেতন হবে মাসিক ১০ হাজার টাকা। বেতনের অর্ধেক অর্থাৎ পাঁচ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার। বাকি টাকা দেবেন রেশন ডিলাররা। এ ছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৫০০ মিটার পর পর একটি করে রেশনের গাড়ি দাঁড়াবে। কবে গাড়ি আসবে, ওই এলাকার মানুষকে আগে থেকেই তা জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী, রেশন নিয়ে যাবেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু কেউ যদি রেশন নিতে না আসতে পারেন, তিনি কি আর রেশন পাবেন? এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে অন্য পা়ড়ায় গিয়ে ওই ব্যক্তি রেশন গাড়ি থেকে রেশন পাবেন। কাউকে ফেরানো হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের ২১ হাজার রেশন ডিলার দু’জন করে কর্মী নিয়োগ করলে রাজ্যে ৪২ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এর অর্ধেক খরচ করবে রাজ্য সরকার। এ জন্য সরকারি কোষাগার থেকে অতিরিক্ত ১৬০ কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।