বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের একটা বড় অংশ সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চালানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আইনি রাস্তায় হাঁটার পরিকল্পনা নিয়েছে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে গত ৮ নভেম্বর কলকাতার কাশীপুর অঞ্চলের কুসুমদেবী সুন্দরলাল দুগ্গর জৈন ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রথম বর্ষের ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ক্লাস করতে আসার পরেই মেডিক্যালের শিক্ষক-চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ প্রতিবাদে সরব হয়েছিল। এ বার একাধিক চিকিৎসক সংগঠন অভিযোগ তুলল, ২০০৮ সালের যে সরকারি নির্দেশের ভিত্তিতে বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের ছাত্রদের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার অনুমতি স্বাস্থ্য দফতর দিয়েছে আসলে সেই নির্দেশটি ছিল একেবারে ভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত।
সেটা কী রকম?
সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টর্স’ এবং ‘হেল্থ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে জানানো হয়েছে, ২০০৮ সালের ২৬ মে-র নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, নির্দিষ্ট ‘ফি’-এর বিনিময়ে প্যারামেডিক্যাল ও নার্সিংয়ের ডিপ্লোমা ও ডিগ্রিধারীরা ৬ মাসের জন্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপ করার অনুমতি পেতে পারেন। বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, চিকিৎসা-সংস্থা বা ল্যাবরেটরি টাকার বিনিময়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র বা কর্মীদের কিছু ট্রেনিং করাতে পারে। ডেন্টাল বা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ৬ মাসের জন্য কোনও প্রোজেক্ট করতে পারেন, বা কোনও গবেষণা প্রকল্পের জন্য এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স নিতে পারেন। চিকিৎসক সংগঠনগুলির অভিযোগ, অন্যায় ভাবে এই নির্দেশ দেখিয়ে এখন সরকারি শিক্ষক-চিকিৎসকদের অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।