প্রতীকী ছবি।
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রা। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমাঞ্চল-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। দুপুরের লু বা চড়া রোদে অনেক সময় শরীর জলশূন্য হয়ে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। হিট স্ট্রোকেও আক্রান্ত হন অনেকে। এই অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে কী করবেন আর কী করবেন না, সেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই এবং অরিন্দম বিশ্বাস।
দুপুরের চড়া রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বাড়িতে বসেও তো থাকা যায় না! তবু দুপুর ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে যতখানি সম্ভব অফিসের মধ্যে বা ছায়ায় কাজ করুন। শরীরিক অসুবিধা হচ্ছে, এমন সব কাজ এই সময় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। অন্য দিকে দুপুরে বাড়িতে পর্দা দিয়ে রোদ আটকানো আর রাতের দিকে জানলা খুলে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কো্নও ব্যক্তি গরমে অসুস্থ পড়লে বা তাঁর হিট স্ট্রোক হয়েছে বুঝলে দ্রুত তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যত ক্ষণ না চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে, তত ক্ষণ অসুস্থ ব্যক্তিকে ছায়ায় নিয়ে গিয়ে শুইয়ে রাখা বা ভিজে রুমাল, গামছা বা কাপড় দিয়ে চোখ মুখ মুছিয়ে দেওয়া এবং প্রয়োজনে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে শরীরে ও মাথায় জল দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সাধারণত চড়া রোদে ঘরে-বাইরে যে নিয়মগুলি মনে চলতে হবে--
কী করবেন
১) দিনে কমপক্ষে তিন লিটার জল পান করা জরুরি।
২) পারলে ওআরএস বা ডাবের জল, ঘোল, নুন-চিনি জল খাওয়া দরকার।
৩) জলশূন্যতা থেকে বাঁচতে, তেষ্টা না পেলেও জল খাওয়া জরুরি।
৪) দুপুর ১২টা থেকে তিনটে পর্যন্ত রোদ এড়িয়ে ছায়ায় থাকুন।
৫) রোদে বেরোলে ছাতা, টুপি, রোদ চশমা ব্যবহার করুন।
৬) বাইরে থাকলে মাথা, ঘাড়ে, মুখে ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন।
৭) আঁটোসাঁটো পোশাক না পরে হাল্কা সুতির পোশাক পরুন।
৮) হিট-স্ট্রোকের সঙ্কেত অর্থাৎ জলশূন্যতা এবং তারপর হাত-পা টান ধরে অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৯) ঠান্ডা জলে স্নান করুন।
১০) হাই প্রোটিন, তেলেভাজা, ফাস্ট ফুড, যে কোনও রকম রঙিন জল এড়িয়ে চলুন।
১১) গরমে খাবার দ্রুত পচে যায়। তাই বাইরের খোলা খাবার, কাটা ফল খাবেন না।
১২) ঘাম হচ্ছে না, সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে বা অন্য কোনও রকম অস্বস্তি বোধ করলে নিজে থেকে ওষুধ খাবেন না।