একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে পার্থের। ফাইল চিত্র।
বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন পদাধিকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পর পার্থর পা ফোলার সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে তাঁর চিকিৎসার জন্য সংশোধনাগারে যায় এসএসকেএমের একটি দল।
সূত্রের খবর, যে সব শারীরিক সমস্যার কথা বলেছেন পার্থ, তা নিয়ে সম্প্রতি জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে রিপোর্ট দেন প্রেসিডেন্সি জেলের প্রধান চিকিৎসক প্রণবকুমার ঘোষ। জেলের চিকিৎসকদের নিয়ে এক সঙ্গে এতগুলো সমস্যার চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাঠানো হয় কারা দফতরের ডিআইজি অরিন্দম সরকারের কাছে। ওই রিপোর্ট নবান্ন ঘুরে স্বাস্থ্য দফতরের সিএমওএইচের কাছে যায়। এর পরই পার্থকে দেখতে এসএসকেএমের চিকিৎসক দলকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, পার্থর শারীরিক পরীক্ষা করানোর পর জেলে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশিকা তৈরি করে দিতে পারে ওই দল।
প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে রয়েছেন পার্থ। সংশোধানাগারে যাওয়ার পর পার্থের পা ফোলা লক্ষ করেছিলেন জেলের চিকিৎসকরা। হাঁটাচলা কমে যাওয়ার জন্যই প্রাক্তন মন্ত্রীর পায়ে ফোলা ভাব দেখা যেতে পারে বলে সে সময় জানিয়েছিলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই নাকতলায় পার্থের বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সে সময়ও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই পার্থের বাড়িতে এসএসকেএমের চিকিৎসকদের যেতে দেখা গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখান থেকে আদালতের নির্দেশে ভুবেনশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থকে। কিন্তু, তাঁর যে অসুস্থতা রয়েছে, তার জন্য হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছিলেন সেখানকার চিকিৎসকরা। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন ৪৮ ঘণ্টা অন্তর জোকার ইএসআই হাসপাতালে পার্থের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছিল।