(বাঁ দিকে) বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। অভীক দে (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
সিবিআইয়ের ডাক পেয়ে শনিবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় এ বার অন্য এক চিকিৎসক অভীক দে-কে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন অভীক। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরূপাক্ষ এবং অভীককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। সে কারণেই ‘থ্রেট কালচার’-এ নাম জড়ানো দুই চিকিৎসককে একই দিনে তলব করা হয়েছে সিবিআই দফতরে। প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম দাবি ছিল মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ করতে হবে।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ এবং প্রাক্তন আরএমও অভীকের নাম। তাঁদের নামে ভূরি ভূরি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁরা সন্দীপের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও অভিযোগ। এ ছাড়া তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ‘দাদাগিরি’ করার অভিযোগ রয়েছে।
আরজি করে আর্থিক অনিয়ম মামলায় সিবিআইয়ের হাতে সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পরেই অভীকদের ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। মুখ খুলতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। স্বাস্থ্য ভবনও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সমাজমাধ্যমে একটি অডিয়ো ভাইরাল হয় (যদিও সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। সেই অডিয়োর সূত্র ধরেই উঠে আসে চিকিৎসক বিরূপাক্ষের নাম। দাবি করা হয়, ওই অডিয়োর কণ্ঠস্বর বিরূপাক্ষের। বিরূপাক্ষকে সেই অডিয়োয় ‘হুমকি’ দিতে শোনা যায়। অভিযোগ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চলত বিরূপাক্ষের ‘দাদাগিরি’। তিনি হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ। বিরূপাক্ষ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
অন্য দিকে, ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র উঠতি নেতা অভীকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ কম নেই। চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে জেলা স্তরের হাসপাতালে ‘সিন্ডিকেট’ পরিচালনা করতেন অভীকেরা। এমনকি, আরজি কর-কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে অভীকের উপস্থিতি নিয়েও একাধিক অভিযোগ ওঠে। সেই সব বিষয় নিয়েই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে।