—প্রতীকী ছবি।
পর্যটক টানতে ১৬টি জেলায় ৬৫টি ‘ট্যুর-প্যাকেজ’ (ভ্রমণের প্যাকেজ) প্রস্তুত করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার পর্যটন দফতরের প্রকাশিত সেই প্যাকেজে পাহাড়, বন্যপ্রাণ, ঐতিহ্যবাহী এবং সংস্কৃতি, প্রকৃতি, সমুদ্রতট এবং সপ্তাহান্তের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ পরিকল্পনার সঙ্গে ধর্মীয় পর্যটনও রয়েছে। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করেও প্যাকেজ তৈরি করেছে দফতর।
অভিযোগ, এ রাজ্যে পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত এত বৈচিত্র্য থাকলেও নির্দিষ্ট প্যাকেজ ছিল না। এ বার পর্যটন কেন্দ্র, ঘোরার সময়, থাকার জায়গা, পর্যটক-গাইডের তথ্য দিয়ে সবিস্তার জানানো হয়েছে। পাহাড়ের আওতায় থাকছে দার্জিলিং-কালিম্পং, বন্যপ্রাণে জলপাইগুড়ি, দুই ২৪ পরগনা, আলিপুরদুয়ার, হেরিটেজে বা ঐতিহ্যবাহী ভ্রমণের ক্ষেত্রে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহার, কলকাতাকে রাখা হয়েছে। প্রকৃতিতে রয়েছে পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম, সমুদ্রতটের নিরিখে বাছা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে। সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানোর গন্তব্য দেখানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। আবার জেলাগুলিতে একশোটির বেশি ধর্মীয় ক্ষেত্র (রিলিজিয়াস সার্কিট) এবং চারশোর বেশি ধর্মস্থানের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইন্দ্রনীল সেনের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যকে পর্যটনে দেশের প্রবেশদ্বার করতে চেয়েছিলেন। সেটাকেই বাস্তবায়িত করার পদক্ষেপ হচ্ছে।” পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আশা করা যায়, রাজ্যে বাইরের পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে।’’ দফতর জানিয়েছে, ওয়েবসাইট ছাড়াও এই তথ্য হোটেলগুলিতে দেওয়া থাকবে। ব্যাখ্যার জন্য বুকলেট, কিউআর কোড, এমনকি হোটেলগুলির ‘ফ্রন্ট-ডেস্ক’-এর কর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হবে পুজোর আগেই।
দফতর জানিয়েছে, কলকাতার দুর্গাপুজোর জন্য রাজ্য সরকার যে প্যাকেজ তৈরি করেছে তার নাম ‘উদ্বোধনী’। তাতে ১৭-১৮ অক্টোবর কলকাতার পুজোগুলি দেখানো হবে জন পিছু নির্দিষ্ট দরের বিনিময়ে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের পুজোর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা নামের ভ্রমণ-প্যাকেজ।