—ফাইল চিত্র।
বিজেপিতে তাঁর সভাপতিত্বের মেয়াদ নিয়ে জল্পনা বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে একটি সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ বিজেপির সভাপতি হওয়ার জন্য জন্মায়নি। আর এক-দু’বছর পরে আমাকে এখান থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। আমার জায়গায় অন্য কোনও সাধারণ কার্যকর্তা দায়িত্ব নেবেন।’’
তাঁর এই মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তিনি কি দলের রাজ্য সভাপতি পদ ছাড়তে আগ্রহী নাকি তাঁর জন্য অন্য কোনও পদ অপেক্ষা করছে? তবে বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী— একটানা দুই দফা অর্থাৎ ছ’বছরের বেশি সেখানে কেউ সভাপতি থাকতে পারেন না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সে দিক থেকে দেখলে, বছর দুয়েকের মধ্যে দিলীপবাবুর রাজ্য সভাপতি পদের মেয়াদ ফুরিয়েই যাওয়ার কথা।
এ দিন ওই মন্তব্যের আগে দিলীপবাবু সবিস্তার ব্যাখ্যা করেন, ‘‘এক দিন অর্জুনদা আর আমি সামনাসামনি লড়তাম। আজ উনি রাজ্য দলের সহ সভাপতি, আর আমি সভাপতি। শুভেন্দুর এলাকায় আমার গাড়ি ভাঙা হয়েছিল। ওঁর সঙ্গে সামনাসামনি লড়াই হত। আজ শুভেন্দু আর আমি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে লড়ছি। সুনীলদাকে (সাংসদ সুনীল মণ্ডল) হারাবার জন্য আমি প্রচারে এসেছিলাম। আজ সুনীলদা আমাদের কাছে আছে। আমরা কোনও ব্যক্তির জন্য বা দলের জন্য লড়ছি না, বাংলার জন্য লড়ছি। এটাই বিজেপি। যে যেখানে যোগ্য লোক আছে, তাকে আমরা পচতে দেব না। আমাদের দলে এনে মালা পরিয়ে নেতা বানিয়ে তাঁকে দিয়ে বাংলার পরিবর্তন করব। এটাই বিজেপির বৈশিষ্ট্য।’’
এ দিন জগদ্দলে একটি চা চক্রে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধায় প্রশাসনিক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কটু কথা বলেন। ধর্মীয় স্থানে গিয়ে রাজনীতির কথা বলেন। আবার রাজনীতির মঞ্চ থেকে ধর্মের কথা বলেন।’’ দিলীপবাবুর ওই মন্তব্যের জবাবে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করার স্তরে উঠতে দিলীপবাবুর অনেক দেরি আছে। তিনি এখন রাজনীতিতে হামাগুড়ি দিচ্ছেন। তাই রাজনীতির সভায় গিয়ে রোজ হাত-পা ভাঙার হুমকি দেন। কখন কী বলা উচিত, সেই জ্ঞানটুকুও নেই।’’