Dilip Ghosh

Dilip Ghosh: পার্টিটা ক্ষমতায় যাওয়ার কোনও লঞ্চিং প্যাড নয়, নাম না করে সৌমিত্রকে খোঁচা দিলীপের

তিনি আরও বলেন, “ফেসবুক কে কী পোস্ট করল তা নিয়ে রাজনীতি হয় না। মনের দুঃখ, কষ্ট বলার একটা ভাল জায়গা। উনিও মাঝে মধ্যে বলেন।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২১ ২৩:১৪
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র নাম না করে নেটমাধ্যমে তাঁর ভিডিয়ো বার্তা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার নেটমাধ্যমে সৌমিত্র ঘোষণা করেন যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও ওই ভিডিয়ো বার্তাই মুখ খোলেন তিনি। ফলে আরও এক বার অস্বস্তিরে মুখে পড়তে হয় দলকে। সেই পোস্টের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছন্দপতন। সৌমিত্র এ বার জানালেন, তিনি পদ ছাড়ছেন না।

Advertisement

নাম না করেই বুধবার খড়্গপুরে সাংবাদিক বৈঠকে সৌমিত্রকে কটাক্ষ করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “ফেসবুক কে কী পোস্ট করল তা নিয়ে রাজনীতি হয় না। মনের দুঃখ, কষ্ট বলার একটা ভাল জায়গা। অনেক বড় বড় লোকেরাও বলে থাকেন। উনিও মাঝে মধ্যে বলেন।” তারঁ বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “যার যেমন বোঝার শক্তি তিনি তেমন বুঝবেন। কে কী বোঝে তার অধিকার তো তাঁকে দেওয়া হয়নি। হয়তো মন্ত্রীর লাইনে ছিলেন, পাননি, তাই হতাশ।” তবে নেটমাধ্যম বলার জায়গা নয়। এ কথা বলার জায়গা আছে বলেও মত দিলীপের। তাঁর কথায়, “পার্টিটা ক্ষমতায় যাওয়ার কোনও লঞ্চিং প্যাড নয়। হাজার হাজার কর্মী, বহু এমপি, এমএলএ আছেন তাঁরা কিন্তু স্বপ্ন দেখেন না।”

বুধবারের এই ভিডিয়ো বার্তায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সৌমিত্র বলেন, “বিধানসভায় যিনি দলনেতা হয়েছেন, তিনি শুধু নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়। যে ভাবে দলের কাজকর্ম চলছে, তাতে যুবমোর্চার সভাপতি হিসেবে কাজ চালানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমার ছেলেরা একসঙ্গে লড়াই করেছি। কিন্তু এখন যিনি নেতা, তিনি ফোকাসটা অন্য জায়গায় নিয়ে চলে গিয়েছেন। বার বার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝাচ্ছেন। দেখাচ্ছেন, তিনিই বিজেপি-র সবচেয়ে বড় নেতা।’’ সেই প্রসঙ্গে দিলীপ পাল্টা বলেন, “কী বুঝিয়েছেন আমি জানি না। যদি ভুল বুঝিয়ে থাকেন তাহলে উনি গিয়ে ঠিক বুঝিয়ে দিন।”

Advertisement

শুধু সৌমিত্র নয়, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির আক্রমণের নিশানায় ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নাম না করে পেট্রোল, ডিজেল নিয়ে করা রাজীবের ফেসবুক পোস্টের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেন, “উনিও তে অনেক দিন মন্ত্রী ছিলেন। পশ্চিমবাংলায় বিদ্যুতের দাম এত বেশি কেন, কখনও প্রতিবাদ করেছেন?” বুধবার রাজীব পোস্ট করেন, ‘‘যাঁর নেতৃত্বে এবং যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩ আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্য হ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ তারই প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন দিলীপ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement