দিলীপ ঘোষ এবং সোনালি গুহ।
সোনালি গুহ তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায় বিজেপি-র কোনও ক্ষতি হবে না। ভোটের আগে যাঁরা বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন তাঁরাই এখন ফিরে যাচ্ছেন। এমনটাই মনে করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘এঁদের আসা যাওয়াতে সংগঠনের কোনও ক্ষতি হয় না। যাঁরা দলের প্রকৃত সৈনিক তাঁরা সব সময়ে লড়াইতে থাকেন।’’
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে এসেছিলেন সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সোনালি। তবে প্রার্থী করেনি নতুন দল। এখন তিনি ফিরে যেতে চান পুরনো দলে। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ‘ক্ষমাপ্রার্থী’ সোনালি টুইট করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিজেপি ছেড়েছেন সোনালি-র সঙ্গে একই দিনে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। এ নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘অনেকে অনেক রকম উদ্দেশ্য নিয়ে দলে এসেছিলেন। এখন সে সব পূরণ হবে না বুঝতে পেরে চলে যাচ্ছেন। লড়াই করতে ভয় পাচ্ছেন।’’
এর ফলে দলে কি ধাক্কা লাগবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘এখন বিজেপি কর্মীদের উপরে আক্রমণ চলছে জেলায় জেলায়। শুক্রবারই ঘাটালের বিধায়কের উপরে আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু কর্মীদের পাশে যাঁরা থাকার তাঁরা এখনও আছেন, আগামীতেও থাকবেন।’’
সোনালি, দীপেন্দুরাই শুধু নয়, নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া অনেকেই এখন গেরুয়া শিবির ছাড়তে চাইছেন। কয়েকজন সংখ্যালঘু নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকে আঙুল তোলাও শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপি-তে। অনেকেই বলছেন, অনেক সময়েই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা না বলে যোগদান মেলা করা হয়েছে। এক নেতার কথায়, ‘‘অনেক নামজাদাদের নেওয়া হয়েছে। তাঁরাই এখন চলে যাচ্ছেন। এটা জানাই ছিল। আরও অনেক যাবেন। দলে এসেই যাঁরা প্রার্থী হয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই হেরে যাওয়ার পরে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। ফোন ধরছেন না। এঁরা দলে থাকা আর না থাকা সমান।’’ একই সঙ্গে ওই নেতার বক্তব্য, ‘‘এ সবের জবাব যাঁদের দেওয়ার কথা তাঁরাও বাংলায় নেই। নিজের নিজের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন।’’