Dilip Ghosh

উত্তরবঙ্গ বিভাজন নয়, পাহাড়ে বললেন দিলীপ

কয়েক বছর আগে, দার্জিলিঙে দিলীপ ঘোষের উপরে হামলা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, বিজেপি পাহাড়ে নানা আশ্বাস দিয়ে ভোটে জেতে, কিন্তু কাজ কিছু করে না।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:২৯
Share:

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।

পাহাড়ে গিয়ে ফের দিলীপ ঘোষের মুখে বঙ্গভঙ্গের প্রসঙ্গ। শুক্রবার কালিম্পঙে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি জানিয়ে দেন, রাজ্য তথা উত্তরবঙ্গের বিভাজন বিজেপি চাইছে না। তবে গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গটি তিনি এড়িয়ে গিয়ে জানান, এই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ঘটনাচক্রে, এ দিনই কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা দাবি করেছেন, দলের তরফে পাহাড়ের দাবি নিয়ে সাড়া পাননি তিনি। আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে মানুষের মতামত শুনতে তিনি জনসংযোগ যাত্রার ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

এত দিন পাহাড়ে গিয়ে বিজেপির সমতলের নেতারা আলাদা রাজ্যের বিষয়টি নিয়ে ‘নিরাপদ দূরত্ব’ বজায় রাখাই শ্রেয় বলে মনে করতেন। সেখানে দিলীপ এ দিন বঙ্গভঙ্গের দাবিটিকেই কার্যত উড়িয়ে দেন। ফলে দলের রাজ্য নেতাদের একাংশের চিন্তা, এর ফলে ভবিষ্যতে না দলকে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এর আগে সমতলে এই একই সুরে কথা বলেছেন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পর্যন্ত অনেকেই। এ দিন দিলীপ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ বিভাজনের কোনও বিষয় নেই। আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি, উত্তরবঙ্গের কোনও বিভাজন আমরা চাই না।’’ এর পরেই পাহাড়ের আলাদা রাজ্যের দাবি প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘এমন দাবি-দাওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গেই কথা বলতে হবে। দেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেখানেই আলোচনা করে সমস্যার সমাধান হতে পারে।’’

পাহাড়ে ১১টি জনজাতির তফসিলি স্বীকৃতির বিষয় নিয়ে রাজ্যকে দুষেছেন দিলীপ। তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্র, সাংসদ এবং বিজেপি নেতারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। রাজ্য সহযোগিতা করছে না।’’ যদিও পাহাড়ের তৃণমূল নেতাদের পাল্টা দাবি, রাজ্যের তরফে এ নিয়ে আপত্তি নেই। বহু দিন আগে তা কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

Advertisement

কয়েক বছর আগে, দার্জিলিঙে দিলীপ ঘোষের উপরে হামলা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, বিজেপি পাহাড়ে নানা আশ্বাস দিয়ে ভোটে জেতে, কিন্তু কাজ কিছু করে না। সে সময়ে দিলীপের সঙ্গীদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। সে সময় বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার গাড়ি আটকেও বিক্ষোভ হয়। ২০২১-এ বিধানসভার আগে পরিস্থিতি বদলায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement