—ফাইল চিত্র।
টলিউডে ‘গেরুয়া পদক্ষেপে’র চেষ্টা শুরু হয়েছিল ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই। শনিবার চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের এক সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি এবং ‘আক্রমণাত্মক’বক্তৃতা বিষয়টিকে আর এক ধাপ এগিয়ে দিল।
বিজেপি অবশ্য আগেই বলেছিল, এটা তাদের সাংগঠনিক সমাবেশ নয়। এ দিন দিলীপবাবু সে কথা বললেও, একই সঙ্গে তাঁর হুমকি, ‘‘টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মাফিয়ারাজ চলছে। সেই মাফিয়ারা অপছন্দের কলাকুশলীদের কাজ করতে দিচ্ছে না। আপনারা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আমরা সমস্ত রকম সাহায্য করব।’’ শুধু তাই নয়, দিলীপবাবুর হুঙ্কার, ‘‘মাফিয়ারা ওখানে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা সেই লাঠি কেড়ে নেব। তার পর সেটা কার পিঠে পড়বে, সে কথা বলা মুশকিল।’’
বিজেপি সভাপতির হুমকিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের পাল্টা জবাব, ‘‘ইন্ডাস্ট্রি একটি অরাজনৈতিক জায়গা। ফেডারেশনও অরাজনৈতিক সংগঠন। এটা শান্তির জায়গা। দিলীপবাবুরা সেখানে কাজের পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছেন। ইন্ডাস্ট্রি এ জিনিস মেনে নেবে না।’’ অন্য দিকে, ইন্ডাস্ট্রিতে পা দেওয়ার আগেই টলিউডের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। এ দিন যখন দিলীপ শিবিরের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে ‘টলিউড সমাবেশ’ হচ্ছে, প্রায় সেই সময়েই দলেরই অন্য অংশ পরিচালিত ‘বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ’ নামক শিবির জানিয়ে দেয়, ১ জুলাই সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের বক্তব্য জানাবে তারা। তাদের আরও দাবি, এ দিন ‘টলিউড সমাবেশে’র আয়োজন যাঁরা করেছেন, সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে তাদের কোনও সংযোগ নেই। কিন্তু তাদের আছে। যদিও দিলীপবাবুর দাবি, ‘‘ওরা কারা? জানি না। সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত হওয়া অত সোজা নয়। ওদের রেজিস্ট্রেশন আছে তো?’’