তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। ছবি: সংগৃহীত।
বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এ বার তাৎপর্যপূর্ণ মাত্রা নিল। দলীয় নেতৃত্বকে ক্রমাগত আক্রমণ করার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়কে দল ছেড়ে দিতে বললেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার পরেও তথাগত তাঁর অবস্থানে অনড়। বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিষয়টি নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে গত ছ’মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমে দিলীপ, রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, আর এক কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ এবং কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননকে আক্রমণ করে আসছেন তথাগত। তাঁর বক্তব্য— বিধানসভা ভোটে এবং তার পরে উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির জন্য দায়ী দিলীপ, কৈলাস, শিবপ্রকাশ এবং মেননের রণকৌশল। অতি সম্প্রতি তথাগতের বিতর্কিত টুইটগুলি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি থামেননি।
দিলীপ শনিবার তথাগতের আক্রমণ প্রসঙ্গে বলেন, “কত দিন আর লজ্জা পাবেন? দল ছেড়ে দিন! যাঁরা দলের জন্য কিছুই করেননি, দল যাঁদের সবচেয়ে বেশি দিয়েছে, তাঁরাই দলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেন। এটাই দুর্ভাগ্যের।”
প্রতিক্রিয়ায় তথাগত বলেন, “এর জবাবে আমি যা বলতে পারি, তা দিলীপ ঘোষের বোধগম্য হবে না। অশিক্ষিত হলে যা সমস্যা হয়। আমি কিছুই বলব না। কারণ সেটা পণ্ডশ্রম হবে। আমি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছি না।”
পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, দিলীপের এই ধরনের মন্তব্যের নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোনও ‘খুঁটির জোর’ আছে। রাত পর্যন্ত বিজেপির তরফে কেউ দিলীপের এই মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। সুকান্ত বলেন, “দিলীপদা বলেছেন তথাগত রায়ের সম্পর্কে। আমি দু’জনের মাঝখানে ঢুকে কিছু বলব না।” আর শমীকের বক্তব্য, “দীর্ঘ দিন ধরে এই অনভিপ্রেত এবং অস্বস্তিকর অবস্থা চলছে। এ বিষয়ে যা বলার, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলবেন।”
পাশাপাশি, বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে সরানো হয়েছে এবং তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে।