Yaas

Yaas: ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের পাশে থাকতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েও ‘বাধা’র ভয় পাচ্ছেন দিলীপ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২১ ১৪:১২
Share:

ইয়াস রাজ্যে আছড়ে পড়লে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা, কর্মীদের নির্দেশ দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় যে হেতু বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তাই বেশি করে এই সব এলাকার দলের সব স্তরের নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। তবে বিজেপি-র পক্ষে আদৌ সেবামূলক পরিষেবা দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে তিনি চিন্তিত বলে দাবি করে দিলীপ বলেন, ‘‘আমপানের সময়ে আমাদের ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আমরা চাইব এ বার যেন তেমন পরিস্থিতি তৈরি না করা হয়।’’

Advertisement

রাজ্যে ইতিমধ্যেই নিম্নচাপ পরিস্থিতি চলছে। সোম বা মঙ্গলবার থেকে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা মতো ইয়াস আছড়ে পড়লে গোটা রাজ্যেই প্রভাব পড়তে পারে। দুই ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরের পাশাপাশি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেই কম বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ চাইছেন রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বিজেপি নেতা, কর্মীরাও যেন ত্রাণকার্যে অংশ নেন। সেই মতো নির্দেশও পাঠিয়েছেন দিলীপ। রবিবার তিনি বলেছেন, ‘‘সব জায়গাতেই কার্যকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এমনিতেই ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য জেলায় জেলায় আমাদের ত্রাণ শিবির চলছে। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের পাশেও সবাইকে থাকতে বলা হয়েছে। ত্রিপল, খাবার-সহ অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলির প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।’’

তবে এই কাজ করতে গিয়ে ‘রাজনৈতিক বাধা’ আসতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘আমপানের সময়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। ত্রাণ পৌঁছনোর জন্য আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে হাই কোর্টের শরণ নিতে হয়েছিল। বাধা পেয়েছিলেন সাংসদ জন বার্লাও। আমাকেও অনেক জায়গায় ত্রাণ নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ গাড়ি আটকেছে। তার মধ্যেও আমরা ৫০ হাজার ত্রিপল বিলি করেছিলাম।’’ দিলীপ একই সঙ্গে জানান, করোনা পরিস্থিতিতেও সাধারণের পাশে রয়েছে বিজেপি। অনেক জায়গায় বাধাও দেওয়া হচ্ছে। দিলীপ বলেন, ‘‘আমি চাইব রাজ্য প্রশাসন যেন করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক রং না দেখে। সকলে যেন সমান পরিষেবা পায় এবং সকলে যেন সেবাকাজ করতে পারেন।’’

Advertisement

এদিকে, দলের নির্দেশ পেয়ে রবিবারই কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ার অতিথি নিবাসে ওই বৈঠক হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ইয়াস আছড়ে পড়ল কী ভাবে তার মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ফেসবুকে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement