প্রতীকী ছবি।
করোনা সতর্কতায় লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিঘার পর্যটন ব্যবসা। পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ হওয়ায় হোটেল মালিক-কর্মচারী সহ পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা সমস্যায় পড়েছেন। দিঘা পর্যটন কেন্দ্রকে ফের সচল ও স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানালেন কাঁথির সাংসদ তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী।
করোনা ও আমপানের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার তমলুকে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিশির। ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি ও তমলুকের পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন। বৈঠকে শিশির বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলা ও আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন। করোনা পরিস্থিতির ফলে কাজ হারানো জেলার ৫৬ হাজার ২৪ জন শ্রমিককে স্নেহের পরশ প্রকল্পে এক হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা জেলার প্রায় ৭ হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফেরানো হয়েছে। কৃষকদের সাহায্যের জন্য জেলায় নতুন করে দেড় লক্ষ কিসান ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলায় লকডাউনে দিঘায় পর্যটন ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে। হোটেল মালিক-সহ বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। দিঘার মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রকে ফের স্বাভাবিক করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, আমপানে জেলায় বাড়িঘর, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও পান বরজ সহ চাষের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এখনও জেলার বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়নি। তবে এইসব এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ চালু করতে বিদ্যুৎ দফতর কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি এবং পান বরজ সহ চাষে ক্ষতিগ্রস্তদের সরাসরি ব্যাঙ্ক আকাউন্টে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের ভূমিকার সমালোচনা করে সাংসদ বলেন, ‘‘করোনা ও আমপান মোকাবিলায় রাজ্য সরকার বিপুল কাজ করা সত্ত্বেও বিজেপি নানাভাবে কুৎসা করছে। বিভিন্ন ব্লকে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখানো ও নানা মিথ্যা প্রচার করে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।’’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকের পর শিশির জেলাশাসকের অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। ছিলেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ সহ জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। এদিন আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মৎস্যজীবীদের কয়েকজনের হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেওয়া হয়।