ভোটের ডায়েরি

চার জন প্রার্থীই দুই পাড়ার বউমা। দু’জন বাঙালি আর দু’জন অবাঙালি। ২০১০ সালের ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের আগে দু’জন প্রার্থী ছিলেন পুরনো ৯ নম্বর আর দু’জন প্রার্থী ছিলেন পুরনো ১১ নম্বরের বাসিন্দা। এলাকা পুনর্বিন্যাসে ওই দু’টি ওয়ার্ড সংযুক্ত হয়েই এখন ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। সেই ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই লড়ছেন পুরনো ৯ নম্বরের সিপিআইয়ের সোনালি বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের শ্বেতা কুণ্ডু এবং পুরনো ১১ নম্বরের কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল মীরাদেবী শর্মা ও বিজেপির সুনীতা গুপ্ত।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৩
Share:

বৌমাদের লড়াই

Advertisement

চার জন প্রার্থীই দুই পাড়ার বউমা। দু’জন বাঙালি আর দু’জন অবাঙালি। ২০১০ সালের ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের আগে দু’জন প্রার্থী ছিলেন পুরনো ৯ নম্বর আর দু’জন প্রার্থী ছিলেন পুরনো ১১ নম্বরের বাসিন্দা। এলাকা পুনর্বিন্যাসে ওই দু’টি ওয়ার্ড সংযুক্ত হয়েই এখন ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। সেই ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই লড়ছেন পুরনো ৯ নম্বরের সিপিআইয়ের সোনালি বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের শ্বেতা কুণ্ডু এবং পুরনো ১১ নম্বরের কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল মীরাদেবী শর্মা ও বিজেপির সুনীতা গুপ্ত। ফলে একই ওয়ার্ডে লড়াই যেন পাড়ায়-পাড়ায়। এক-একটি পাড়া থেকে দু’জন করে বউমা ভোটে দাঁড়ানোয় সমস্যায় পড়েছেন ভোটাররা। শেষ মুহূর্তে কোন বউমার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে সে দিকেই তাকিয়ে ১৯ নম্বর।

Advertisement

মার নয়

লম্বাটে ঘর। গত পাঁচ বছরে এটাই ছিল শ্রীরামপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর নিতাই গুহ’র অফিস। শনিবার সকাল থেকে সেটাই বদলে যাচ্ছে ‘ওয়ার রুমে’। তবে, অন্য বিদায়ী কাউন্সিলরদের মতো রান্নাবান্না বা হোটেল থেকে খাবার আনার পাঠ নেই। নিতাইয়ের জবাব, ‘‘অত টাকা কোথায় পাব! টিফিন বা লাঞ্চ যে যাঁর বাড়িতে খাবেন। এখানে চা-বিস্কুট।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সবাই নিজের মতো খাওয়াদাওয়া করুন। কিন্তু কোথাও যেন অন্য দলের হাতে মার খেতে না হয়! তেমনটা হলে আমি হজম করতে পারব না।’’

ভোটে মই

বাড়ির পাঁচিল। তার গায়ে বাঁশের তৈরি তিন ফুট উচ্চতার মই দাঁড় করানো। আচমকা দেখে মনে হবে, কেউ বুঝি পাঁচিল টপকানোর জন্য মই দাঁড় করিয়ে রেখেছে। রামপুরহাট পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছোট মাপের মই দেখা যাবে। আসলে মইগুলি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী অনিন্দ্য রায়ের সমর্থনে দাঁড় করানো হয়েছে। অনিন্দ্যবাবুর দাবি , ‘‘মই বাংলার কুটিরশিল্প। সেই কথাই ফুটেছে আমার প্রচারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement