কৃষক আন্দোলনে ‘শহীদ’ দের জন্য যুব কংগ্রেসের শ্রদ্ধাঞ্জলি। নিজস্ব চিত্র।
দিল্লিতে চলমান কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে কলকাতা শহরেও শুরু হল অনির্দিষ্ট কালের অবস্থান। কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখার ডাকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে শনিবার থেকে ওই অবস্থান শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন এবং বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল প্রত্যাহারের দাবিতে। এরই অঙ্গ হিসেবে আগামী ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি বিশেষ ধর্না-অবস্থান হবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। রাজ্য বিধানসভায় কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ এবং বিকল্প আইনের দাবিও তুলেছে সমন্বয় কমিটি।
বামফ্রন্ট ও সহযোগী মিলে ১৬ দলের তরফে বিমান বসু বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সমন্বয় কমিটির ডাকে কেন্দ্রীয় এবং জেলায় জেলায় বিকেন্দ্রীভূত ভাবে যে সব কর্মসুচি চলবে, তাতে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা অংশগ্রহণ করবেন। আগামী ১৩ জানুয়ারি সর্বত্র কৃষি আইনের প্রতিলিপি পোড়ানো, নেতাজির জন্মদিনে ২৩ জানুয়ারি ‘আজাদ হিন্দ কিষাণ দিবস’ বা ২৬ জানুয়ারি ‘কৃষক প্রজাতন্ত্র দিবস’ পালন হবে সম্মিলিত ভাবেই। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের ‘শহিদ’ বলে দাবি করে এ দিনই বিধান ভবনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছে যুব কংগ্রেস। প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খানের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ‘একগুঁয়ে মানসিকতা’র জন্যই কৃষকদের দাবি সরকার মানতে চাইছে না। কিন্তু মানুষ কৃষকদের পাশে আছেন বলেই তাঁদের দাবি।