মুনাফার লোভ, ডেউচা নিয়ে নালিশ সেলিমের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, এলাকার মানুষের পূর্ণ আস্থা অর্জন করার পরেই মহম্মদবাজার ব্লকে এই খনি গড়ার কাজে হাত পড়বে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৫১
Share:

মহম্মদ সেলিম।

পরিবেশ নষ্ট করে, আদিবাসীদের উৎখাত করে ডেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি হলে তার বিরোধিতা করা হবে বলে জানালেন সিপিএমের পলিটবুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। যে জেলায় দেশের এই বৃহত্তম কয়লা প্রকল্প গড়ে ওঠার কথা, সেই বীরভূমের সদর শহর সিউড়ির জেলা স্কুলের মাঠে বুধবার এক সভায় সেলিম বলেন, ‘‘মুনাফার লোভে ১০ হাজারের বেশি মানুষ, হাজার হাজার একর জমি, প্রকৃতি-জঙ্গল-বসতি ধ্বংস করার পরিকল্পনা হচ্ছে।’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, এলাকার মানুষের পূর্ণ আস্থা অর্জন করার পরেই মহম্মদবাজার ব্লকে এই খনি গড়ার কাজে হাত পড়বে। দিন কয়েক আগে দিল্লি গিয়ে খনি প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সাক্ষাৎকে কটাক্ষ করে সিপিএম নেতার অভিযোগ, ‘‘সুইডেনের কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গের নেতৃত্বে প্রকৃতি বাঁচাতে যখন একজোট হয়েছেন বিশ্বের মানুষ, তখন মোদী-দিদি মিলে আমাদের ভবিষ্যৎটাকে নষ্ট করতে চাইছেন। প্রকৃতি নিয়ে খেলতে চাইছেন, লুট করতে চাইছেন।’’

সিউড়িতে সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র রক্ষা শীর্ষক দলীয় কর্মী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সেলিম। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমরা খোলামুখ খনির বিপক্ষে। কারণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ এবং জনবসতির উপরে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এখানে মুনাফার লোভে যদি তৃণমূল-বিজেপি খনি গড়ার চেষ্টা করে, আমরা তার বিরোধিতা করব। ফ্রন্টের লোকজন এবং পরিবেশপ্রেমী মানুষকেও আমরা বলব, এককাট্টা হয়ে এর প্রতিরোধ করুন।’’

Advertisement

সেলিমের অভিযোগ উড়িয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত ক্ষণ আছেন, তত ক্ষণ পুনর্বাসন ছাড়া এক জনকেও উৎখাত করা হবে না। সিপিএমের ও-সব নিয়ে ভাবার দরকার নেই। ওরা যা অপরাধ করেছে, এ সবে তার প্রায়শ্চিত্ত হবে না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement