—ফাইল চিত্র।
রাজ্যে অশান্তি, হিংসা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভিযোগ প্রায় রোজই করছে বিরোধী শিবির। আর সে সব অভিযোগ কতটা ‘গুরুতর’, তা বুঝতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। তার অঙ্গ হিসাবে আগামী পরশু, বুধবার রাজ্যে আসার কথা উপ নির্বাচন কমিশনার তথা রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত কমিশন কর্তা সুদীপ জৈনের। সঙ্গে থাকবেন কমিশনের এক আধিকারিকও। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ থাকবে বলে সূত্রের খবর। নিয়মিত ব্যবধানে সিইও দফতরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন জেলা নির্বাচন অফিসার (ডিইও) এবং পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপাররা।
উপ নির্বাচন কমিশনার কার্যসূচি অনুসারে, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে প্রেসিডেন্সি, বর্ধমান এবং মেদিনীপুর ডিভিশনের অন্তর্গত ১৪টি জেলার ডিইও তথা জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জৈন। দ্বিতীয়ার্ধে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার-সহ (সিইও) পদস্থদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তিনি। ওই দিনই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে মালদহে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে মালদহের জেলাশাসকের দফতরে মালদহ ডিভিশনে থাকা চারটি জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে ভোট প্রস্তুতির বৈঠকের কার্যসূচি রয়েছে জৈনের। সেখান থেকে শিলিগুড়ি গিয়ে শুক্রবারের দ্বিতীয়ার্ধে জলপাইগুড়ি ডিভিশনের পাঁচটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করার কথা।
কমিশনের দাবি, শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়। বুথ পুনর্গঠন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), তার প্রথম দফার পরীক্ষা চলছে, সেই সব বিষয় উঠে আসবে বৈঠকে। ভোটার তালিকা, ভোটকর্মী, গাড়ি, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সিদের ভোটদান নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করবেন জৈন। ওই বৈঠকের ‘মহড়া’ সোমবার ভিডিয়ো বৈঠকে করেছেন সিইও আরিজ আফতাব-সহ দায়িত্বপ্রাপ্তেরা।