প্রতীকী ছবি।
ভরা আষাঢ়। কিন্তু মেঘ-বৃষ্টিতে বর্ষার আমেজটুকুই সার। পশ্চিমবঙ্গকে বিপুল ঘাটতি মাথায় নিয়েই বর্ষার খাতার প্রথম পাতা শেষ করতে হল। দিল্লির মৌসম ভবনের হিসেবে ১ জুন থেকেই বর্ষা শুরু হয়। যদিও বাংলায় এ বার মৌসুমি বায়ু পৌঁছেছে বেশ খানিকটা পরে। রবিবার, জুনের শেষ দিনে মৌসম ভবনের হিসেব বলছে, পশ্চিমবঙ্গে ৪৯ শতাংশ বর্ষণ-ঘাটতি রয়েছে। তবে শুধু বাংলা নয়, দেশের বেশির ভাগ রাজ্যই বৃষ্টি-ঘাটতি মাথায় নিয়ে জুন শেষ করেছে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, বৃষ্টি-ঘাটতি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই। একমাত্র জলপাইগুড়ির ঘাটতিকে স্বাভাবিকের কোঠায় বলা যেতে পারে। ঘাটতি বেশি বীরভূম, দুই বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া আর উত্তর ২৪ পরগনায়। তবে কিছুটা আশা জাগাচ্ছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ। তার দাপটেই রবিবার কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। আরও দিন দুয়েক এমন পরিস্থিতি চলবে। নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তাতে কিছুটা জোরালো হতে পারে বর্ষা। কলকাতায় শনিবার বিকেল থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত ৩.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে সল্টলেক ও ব্যারাকপুরে।