দৃশ্যমানতার অভাবে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়কে গাড়ি চলাচলেও সমস্যা দেখা দেয়। নিজস্ব চিত্র
বৈশাখে কুয়াশা মোড়া সকালে ঘুম ভাঙল ধূপগুড়ির। কুয়াশা এতটাই গাঢ় যে কয়েক হাত দূরের জিনিসও চোখে পড়ে না। দৃশ্যমানতার অভাবে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়কে গাড়ি চলাচলেও সমস্যা দেখা দেয়। বেলার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আপাতত এই কুয়াশার কারণ খুঁজতে শুরু করেছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। অনেকে আবার মনে করছেন, গত বছরের লক ডাউনের পর দূষণ কমে যাওয়ার ফলে এই পরিস্থিতি।
ধূপগুড়িতে গ্রীষ্মকালে এমন কুয়াশায় গত ছয় থেকে সাত দশকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরমকালে এ ধরনের কুয়াশা তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। কুয়াশার পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে ঠান্ডার স্পর্শ পাচ্ছেন বলেও দাবি স্থানীয়দের। এক পুরনো বাসিন্দার কথায়, ‘‘হাফহাতা জামা পরে বাজারে এসেছিলাম। তাতে ঠান্ডায় কাঁপতে হয়েছে। মনে হচ্ছে এ বার গরম জামাকাপড়ও বের করতে হবে।’’
দূষণমুক্ত পরিবেশই এমন হঠাৎ কুয়াশা এবং ঠান্ডার কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয় পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক গুণময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘গত বছর টানা লকডাউনের পর পরিবেশ নিজের ভারসাম্য ফিরে পেতে শুরু করেছিল। সেই সময় ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গিয়েছিল। হতে পারে এখনও তারই সুফল মিলছে।’’
অবশ্য গুণময় জানিয়েছেন, এমনও হতে পারে এলাকায় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি ছিল। দূষণ অনেকটাই কমে আসায় আচমকাই কুয়াশা হয়েছে। তবে তাঁর মতে,‘‘এখনই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। আরও ভালভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।’’