—ফাইল চিত্র।
বন্ধুরা শনাক্ত করেছেন। কিন্তু আত্মীয়েরা নিতে আসেননি। ফলে দমদম সেন্ট্রাল জেলের হাঙ্গামায় নিহত পাঁচ জনের মধ্যে এক যুবকের দেহ বৃহস্পতিবারেও মর্গেই পড়ে থাকে। শনাক্তকরণের পরে তিনটি মৃতদেহ আগেই স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম মৃতদেহটির আদৌ শনাক্তকরণ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকে। কারণ, ওই ব্যক্তি ভিন্দেশি বলে কারা দফতর সূত্রের খবর।
এ দিন যে-মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়, সেটি উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়ার এক যুবকের। বন্ধুরা চিহ্নিত করার পরে ময়না-তদন্তও হয়েছে। কিন্তু কোনও পরিজন নিতে না-আসায় দেহটি মর্গেই থেকে গিয়েছে। আত্মীয়েরা এলে তাঁদের হাতে সেটি তুলে দেওয়া হবে। হাঙ্গামা হয় শনিবার। তার পরে পাঁচ দিনেও নিহতেরা এলেন না কেন, তা নিয়ে ধন্দে প্রশাসনের অনেকে। যাঁর দেহ শনাক্তকরণ নিয়ে সংশয় আছে, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশে। ‘‘শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন। ফলে শনাক্তকরণে সমস্যা হবে, সন্দেহ নেই,’’ বলেন প্রশাসনের এক কর্তা।
জেলের গোলমালে আহতদের আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে চার জন এখনও সঙ্কটমুক্ত নন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এক জনকে আইসিইউয়ে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য তিন
আহতের দেহ থেকে গুলি বার করার জন্য এ দিন অস্ত্রোপচার হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় অন্য পাঁচ আহতকে দু’-এক দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। এই বিষয়ে হাসপাতাল এবং কারা দফতরের মধ্যে কথাবার্তা চলছে।
দমদম জেল থেকে কলকাতার লাগোয়া বিভিন্ন জেলার জেলে বদলি করার প্রক্রিয়া চলছে। বন্দিদের কোথায় পাঠানো হচ্ছে, স্বজনেরা তা জানতে পারছেন না বলে অভিযোগ।