Visva Bharati

বিশ্বভারতীর জমি মেপে দেখার দাবি

বিশ্বভারতীর সব জমি দ্রুত মেপে দেখে প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৪:৪২
Share:

ফাইল চিত্র।

জমির দখলদারি সংক্রান্ত নানা বিতর্ক সম্প্রতি দেখা দিয়েছে বিশ্বভারতীতে। এই অবস্থায়, বিশ্বভারতীর সব জমি দ্রুত মেপে দেখে প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। বিভিন্ন রেকর্ডে বিশ্বভারতীর মোট জমির পরিমাণ এক এক রকম থাকার জন্যই জমি অধিগ্রহণ বা জবরদখলের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় তেমন কিছু করতে পারছে না বলেই তাঁর ধারণা।

Advertisement

বোলপুরে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সুভাষবাবু বিভিন্ন নথি সহযোগে দাবি করেন, ১৯২১ সালের ২২ ডিসেম্বর বিশ্বভারতী সোসাইটি রেজিস্ট্রেশনের দলিল অনুযায়ী বিশ্বভারতীর মোট জমির পরিমাণ ছিল ৪০০ বিঘা। যার মধ্যে ৩০০ বিঘা শান্তিনিকেতন ও পারিপার্শ্বিক অঞ্চলে এবং ১০০ বিঘা সুরুল ও পারিপার্শ্বিক অঞ্চলে। অথচ, ৯ মে ১৯৫১ সালে তৈরি হওয়া বিশ্বভারতী অ্যাক্টের ৭ নম্বর ধারা অনুয়ায়ী, বিশ্বভারতীর মোট জমির পরিমাণ ৩০০০ হেক্টর। যদিও এই দুই সময়কালের মধ্যে বিরাট পরিমাণ জমি বিশ্বভারতীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকতেই পারে।

সুভাষবাবুর বক্তব্য, বর্তমানে সংবাদমাধ্যম অথবা কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন মন্তব্য থেকে জানা যাচ্ছে, বিশ্বভারতীর জমির পরিমাণ ১১৩৮ একর অর্থাৎ প্রায় ৪৬০.৫৩ হেক্টর। যা ১৯৫১ সালের হিসেবের অনেক কম। তাঁর দাবি, ’৫১ সালের আইনে বিশ্বভারতীর সীমানাও চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরে কোপাই নদী, পশ্চিমে বল্লভপুর ও বানুরি গ্রাম থেকে বাঁধগোড়ার সীমারেখা, দক্ষিণে বাঁধগোড়া থেকে বোলপুর ডাকবাংলো হয়ে পূর্ব রেলের সেতু এবং পূর্ব দিকে রেললাইন পর্যন্ত বিশ্বভারতীর সীমানা।
এই বিশাল অঞ্চলের মধ্যে বর্তমানে বেশ কিছু স্থায়ী জনপদ রয়েছে, যার অধিকাংশই পাকা দলিল-সহ বোলপুর পুরসভা বা স্থানীয় পঞ্চায়েতের অধীনে।

Advertisement

সুভাষবাবু বলেন, “বিশ্বভারতী আইনত কত জমির মালিক, তা জানা দরকার। কতটা জমির দলিল হাতে রয়েছে, অধিকারে থাকা জমির পরিমাণই বা কত, তা জানাও জরুরি।” পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষার দাবি জানিয়ে ২১ জানুয়ারি বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী এবং উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। এই পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘বিশ্বভারতীর জমি বহু ভাবে বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কাউকে দায়ী না করে সার্বিক সমীক্ষা প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেই সদিচ্ছা দেখাক।”

বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সুভাষবাবু সম্ভবত ’৫১ সালের আইনটি ভাল করে পড়েননি। না হলে বুঝতে পারতেন, ৩০০০ হেক্টর হল বিশ্বভারতীর এলাকাগত এক্তিয়ার (টেরিটোরিয়াল জুরিডিকশন)। বিশ্বভারতীর নিজস্ব জমি অতটা নয়। বর্তমানে বিশ্বভারতীর জমি প্রায় ১১৩০ একর।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement