ভীমরাও রামজি অম্বেডকর। —ফাইল চিত্র।
জাতিভিত্তিক জনসমীক্ষার দাবিতে স্বর জোরালো হচ্ছে বাংলাতেও। সংবিধান দিবস পালনের দিনেই এ বার জাতিভিত্তিক সমীক্ষার ডাক দিয়ে ময়দানে নামছে একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
রেড রোডে আম্বেডকর মূর্তির নীচে আগামী ২৬ নভেম্বর ‘সংবিধান বাঁচাও দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, আম্বেডকরের প্রণীত সংবিধানে তফসিলি জাতি, জনজাতি ও সামাজিক ভাবে অনগ্রসরদের যে অধিকার দেওয়া হয়েছিল, স্বাধীনতার পরে সাত দশকেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। মাঝের কয়েক দশকে একাধিক কমিটি ও কমিশনের সরকারি তথ্যেই দেখা গিয়েছে, বৈষম্য, বঞ্চনা ও অনগ্রসরতার শিকার এখনও বহু মানুষ। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে যে সামগ্রিক কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন, তারই অন্যতম অঙ্গ হিসেবে জাতিভিত্তিক সমীক্ষার দাবি করছেন উদ্যোক্তারা। আগামী ২৬ তারিখের কর্মসূচির সংগঠকদের তরফে প্রসেনজিৎ বসুর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার জাতিভিত্তিক জনগণনার বিরোধিতা করছে, তা আমরা জানি। কিন্তু এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থান কী? কেন্দ্রীয় সরকার এই কাজ না করলে বিহারের মতো বাংলাতেও রাজ্য স্তরে জাতিভিত্তিক আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে।’’
উদ্যোক্তাদের মতে, রাজ্যের কোন জেলায় তফসিলি জাতি, জনজাতি বা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের অনুপাত কত, সেই তথ্য এখন পাওয়া সম্ভব। কিন্তু পঞ্চায়েত স্তরে কোথায় জনবিন্যাস কেমন, তার কোনও নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। আর্থ-সামাজিক কারণেই সেই তথ্য সামনে থাকা দরকার, এবং সেই কারণে জাতিভিত্তিক সমীক্ষা এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে বলে সংগঠকদের যুক্তি। কলকাতায় ‘সংবিধান বাঁচাও দিবসে’র কর্মসূচিতে জনজাতিদের জল-জঙ্গল-জমি রক্ষার দাবিও তোলা হবে। সূত্রের খবর, সামাজিক ও জনজাতি মঞ্চের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও ওই দিনের কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।