বাঁ দিক থেকে পিন্টু ও সৌরভ। —নিজস্ব চিত্র।
ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিলেই হবে। একেবারে হাতে পৌঁছে যাবে প্রাণবায়ু। কিন্তু টাকা দিলেই ফুড়ুৎ। করোনার ধাক্কায় দিল্লি যখন অক্সিজেনের অভাবে হাঁসফাঁস করছেন, ইতিউতি এমন প্রতারণা চক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ বার বাংলার মাটিতে তার শিকড়ের হদিশ মিলল। বাংলা থেকে নেওয়া সিমকার্ড থেকে ফোন করে ওই প্রতারণা চক্র চালানো হতো বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের বিশেষ সাইবার অপরাধদমন শাখা।
গোপালনগর এবং বনগাঁ থেকে সোমবার রাতে পিন্টু পাল এবং সৌরভ সাহা নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা দু’জনেই মোবাইলের দোকান চালাতেন। তাঁদের দোকান থেকে বিক্রি হওয়া সিমকার্ড থেকেই ফোনে এই প্রতারণা চক্র চলত বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয় অভিযুক্তদের। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। প্রতারণচক্রে তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লিতে অক্সিজেনের জোগান দিতে নানা ওয়েবসাইট কাজ করছে। সেইরকমই একটি ওয়েবসাইটের নাম ভাঁড়িয়ে একাদিক ফোন নম্বর থেকে দিল্লিবাসীর কাছে ফোন যায়। অক্সিজেন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ ভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে কারও কাছ থেকে ২ হাজার, কারও কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও অক্সিজেন পাননি কেউ। বরং এক ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হয়।
গত ৫মে দিল্লি পুলিশের কাছে এই ধরনের একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। মোবাইলের টাওয়ার ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। তাতেই দেখা যায়, নম্বরগুলি পিন্টু এবং সৌরভের দোকান থেকে নেওয়া হয়েছিল।