দুর্ঘটনার কবলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ছবি: পিটিআই।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১০। মঙ্গলবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেল ছ’বছরের শিশু। তার বাবা-মাও হাসপাতালে ভর্তি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির নাম স্নেহা মণ্ডল। মালদহের বাসিন্দা। সোমবার সে বাবা-মায়ের সঙ্গে সওয়ার ছিল আগরতলা থেকে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। সেই ট্রেনটিকেই ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় মালগাড়ি। সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত দু’টি কামরা মালবাহী। আহত হয়েছেন ৪০ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন রেলের দুই কর্মী।
দুর্ঘটনার পর সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অক্ষত অংশ যাত্রীদের নিয়ে মালদহের দিকে রওনা দিয়েছিল। রেলের দেওয়া সময়ের ২০ মিনিট আগেই শিয়ালদহে ঢুকে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। রাত ৩টে ১৬ মিনিটে ট্রেনটি শিয়ালদহে পৌঁছয়। স্টেশনে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন শিয়ালদহের ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) দীপক নিগম এবং রেলের অন্যান্য আধিকারিকও। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ফিরহাদ। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন রেল আধিকারিকেরাও।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তাঁর দফতর। এর পাশাপাশি, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেলও। রেলমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যাঁরা গুরুতর আহত, তাঁরা আড়াই লক্ষ টাকা এবং যাঁরা কম আহত, তাঁরা ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।