Green Crackers

পরিবেশবান্ধব সবুজ আতশবাজির কিউআর কোড নিয়ে সমস্যায় বাজি বিক্রেতারা

এ বারও শহরের বাজি বাজারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে শিবকাশীর সবুজ বাজি বিক্রি হচ্ছে। কোনও ক্ষেত্রেই সমস্যা হওয়া কথা নয়। তবু সমস্যা নিয়ে কথা বললেন বাজি বিক্রেতাদের সংগঠনের সম্পাদক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পরিবেশবান্ধব সবুজ আতশবাজির কিউআর কোড নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বাজি বিক্রেতারা। সুবজ আতশবাজি চেনার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি) একটি কিউআর কোডের ব্যবস্থা করেছিল। বলা হয়েছিল, এই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই বেরিয়ে আসবে পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি আসল কি না।

Advertisement

সোমবার থেকেই কলকাতার শহিদ মিনার সংলগ্ন ময়দানে বাজি বাজার শুরু হয়েছে। মেলায় বিক্রিত সবুজ বাজি চেনা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রিত বাজির বাক্সের গায়ে কিউআর কোড রয়েছে ঠিকই, কিন্তু অনেক অ্যানড্রয়েড ফোনে প্লে স্টোর থেকে নিরি-র অ্যাপটি ডাউনলোডই হচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে আবার অ্যাপের মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করা যাচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধান করতে মঙ্গলবার নিরি-র কর্তারা বাজি বাজারে আসেন বাজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে। কথা হয় বড়বাজার ফায়ার ওয়ার্কস ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের সঙ্গে।

পরে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক শান্তনু দত্ত বলেন, ‘‘কিউআর কোড নিয়ে সমস্যা রয়েছে, এ কথা ঠিক। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ভার্সন আপডেটেড না থাকলে নিরি-র ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা, দু’পক্ষই। কোনও বাজির বাক্সে থাকা কিউআর কোড নিরি-র অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যান না করা গেলেই ক্রেতারা বিক্রেতাকে অবিশ্বাস করছেন। অ্যানড্রয়েড ফোনের কিছু ভার্সানে অ্যাপ ডাউনলোড না-ও হতে পারে।’’ তবে তাঁর আরও দাবি, ‘‘গুগল কিউআর কোডে গিয়েও আতশবাজি পরিবেশবান্ধব কি না, তা জানারও ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আমরা ক্রেতাদের বলব, নিরি-র অ্যাপ ডাউনলোড না করেও সবুজ বাজি আসল না নকল, তা জানা যায়।’’

Advertisement

আতশবাজি ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রে খবর, এ বারও শহরের বাজি বাজারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে শিবকাশীর সবুজ বাজি বিক্রি হচ্ছে। কোনও ক্ষেত্রেই সমস্যা হওয়া কথা নয়। তা ছাড়া, ২০১৯ সালের কালীপুজো ও দীপাবলির আগে শেষ বার এই মেলার আয়োজন হয়েছিল কলকাতায়। তার পর কোভিড সংক্রমণের কারণে আর কলকাতার শহিদ মিনারে বাজি বাজার বসেনি। কিন্তু এ বার অনেক আগে থেকেই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল সংগঠনের তরফে। অনুমতি পেতে আবেদন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অনুমতি দেয় বাজি ব্যবসায়ীদের। সোমবার থেকে শহিদ মিনার চত্বরে পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে বাজি বাজার। কিউআর কোড সংক্রান্ত সমস্যার জন্য যাতে বাজি বাজারের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকেই নজর বাজি ব্যবসায়ী থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement