আপনি যেই সবুজ বাজিগুলি কিনছেন, সেগুলি আসল কি না বুঝবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক দিন পরেই দীপাবলি। আলোর উৎসব ঘিরে দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি পর্ব। দীপাবলি মানেই ছোটদের মধ্যে বাজি ফাটানোর উত্তেজনা। তবে নিষিদ্ধ বাজি রুখতে পুলিশের ধরপাকড়, সঙ্গে কিছুটা হলেও তৈরি হওয়া সচেতনতা— এই দুয়ের জেরে মানুষের মধ্যে সবুজ বাজি কেনার চাহিদা বেড়েছে। তবে কোনটা সবুজ বাজি আর কোনটা নয়, সেই নিয়ে মানুষের মধ্যে ধন্দের শেষ নেই।
সবুজ বাজি আসলে কি?
সিআইএসআর-নিরি (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-র দীর্ঘ গবেষণার ফল সবুজ বাজি। এই বাজিতে বেরিয়াম যৌগ ব্যবহার করা হয় না। সাধারণ বাজিতে ব্যবহৃত বেরিয়াম মোনোক্লোরাইড, বেরিয়াম নাইট্রেট ও বেরিয়াম ক্লোরেট আদতে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ আর বায়ুদূষণের কারণ হয়। এই বাজি পোড়ালে বাষ্প বেরিয়ে আসে, তাই খুব বেশি ছাই, ধূলো উৎপন্ন হয় না। এই বাজি ফাটালে ১১০ থেকে ১২৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ উৎপন্ন হয় না। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সাধারণ বাজির তুলনায় এই বাজিতে ৩০ শতাংশ দূষণ কম হয়।
কী ভাবে বুঝবেন কোনটা সবুজ বাজি?
‘নিরি’ (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-র কিউআর কোড অন্যান্য বাজি থেকে সবুজ বাজিকে পৃথক করে। তবে কেনার সময় সতর্ক থাকতে হবে বইকি। অনেক ব্যবসায়ী ভুয়ো কিউআর কোড দেখিয়ে বাজি বিক্রি করছে।
এই সবুজ বাজি কি সত্যিই দূষণমুক্ত?
সবুজ বাজি মূলত পরিবেশবান্ধব যা কম দূষণকারী কাঁচা মাল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই বাজিতে যে একদম দূষণ হয় না সেটাও বলা যায় না। মোট ৩ ধরনের সবুজ বাজি বাজারে রয়েছে।
সোয়াস (সেফ ওয়াটার রিলিজার): এই বাজি ফাটালে জলীয় বাষ্প নির্গত হয়। ফলে ৩০ শতাংশ কম ধূলিকণা বাতাসে মেশে। এতে সালফার বা পটাশিয়াম নাইট্রেট থাকে না।
স্টার (সেফ থার্মাইট ক্র্যাকার): এতে পটাশিয়াম নাইট্রেট বা সালফার থাকে না। কম কণা নির্গত করে এবং শব্দের তীব্রতাও অন্যান্য বাজির তুলনায় কম।
সফল: এতে কম মাত্রায় অ্যালুমিনিয়াম এবং বেশি ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এতেও শব্দদূষণের মাত্রা কম হয়।