(বাঁ দিকে) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কন্যা প্রিয়দর্শিনী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
শান্তিনিকেতনের রতনপল্লীতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যে বাড়ি রয়েছে, তা তাঁর নামে নয় বলে দাবি করলেন মন্ত্রীর কন্যা প্রিয়দর্শিনী। তবে ওই বাড়িটি যে তাঁদের পরিবারেরই, তা স্বীকার করে নিয়েছেন। সোমবার এবিপি আনন্দকে একটি সাক্ষাৎকারে প্রিয়দর্শিনী বলেন, ‘‘বাড়ি আছে। সেটা তো অস্বীকার করছি না। তবে বাড়ি আমার নামে নয়। আমাদের পরিবারেরই। বাকিটা তদন্তসাপেক্ষ।’’
শান্তিনিকেতনের রতনপল্লী এলাকায় ‘দোতারা’ নামের একটি বাড়ি জ্যোতিপ্রিয়ের গ্রেফতারির পর থেকেই চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। বলা হচ্ছিল, কোনও এক নিকট আত্মীয়ের নামে এই বাড়ি কিনেছিলেন মন্ত্রী। কেউ কেউ বলছিলেন, কন্যা প্রিয়দর্শিনীর নামে বাড়িটি কেনা হয়। মন্ত্রীকন্যা সোমবার সেই জল্পনা উড়িয়ে দিলেন। তবে বাড়িটি কার নামে, সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু বললেন না।
বাবার গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রিয়দর্শিনীকে। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কিছু বলার সময় এখনও আসেনি। ইডি তো আগে গ্রেফতার করে, তার পর তদন্ত। সবটাই তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার। সময় এলে আমার যা বলার বলব।’’ ইডির সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলেও জানান মন্ত্রীকন্যা। তিনি জানান, তিনি এবং তাঁর বাবা দু’জনেরই তদন্তের মুখোমুখি হতে কোনও আপত্তি নেই।
রবিবার নথি নিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন প্রিয়দর্শিনী। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে সিজিও থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সে বিষয়ে সোমবার মন্ত্রীকন্যা বলেন, ‘‘ইডিকে বাবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি তথ্য দেওয়ার দরকার ছিল। সেটা দিতেই গিয়েছিলাম। সেটা রবিবার দেওয়া যায়নি। আজ দিয়ে আসা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ইডি দফতরে সোমবার নথি নিয়ে গিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ের দাদা দেবপ্রিয়।
গ্রেফতারির পর জ্যোতিপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। প্রিয়দর্শিনীকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি তো সক্রিয় ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। তাই এ বিষয়ে বাবাই ভাল বলতে পারবেন। ষড়যন্ত্র যদি হয়ে থাকে তদন্তে উঠে আসবে। আমরা তো তদন্তের দিকেই তাকিয়ে আছি।’’
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী। তাঁকে সোমবার নিজের দফতরেই দেখা গিয়েছে। মন্ত্রীকন্যার কথায়, ‘‘১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা। আমি স্বেচ্ছায় এই দায়িত্ব নিয়েছি। আমার কী হচ্ছে না হচ্ছে, তার জন্য ছাত্রছাত্রীরা ভুগতে পারে না। তাই আমাকে রোজই অফিসে পাবেন।’’ জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে রোজই কথাবার্তা হয় বলে জানিয়েছেন প্রিয়দর্শিনী। বাবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবরাখবর তিনি নিয়ম করেই নিয়ে থাকেন। বাবার দ্রুত সুস্থতার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।