—ফাইল চিত্র।
এ বছর মহালয়ায় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ঘাটে তর্পণ বন্ধ থাকছে। করোনা পরিস্থিতিতে দূরত্ব-বিধি লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে, সংক্রমণ রোধে বেলুড় মঠে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকায় সেখানকার গঙ্গার ঘাটেও তর্পণের সুযোগ মিলবে না।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিনে যাতে মন্দিরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়, তার জন্য দক্ষিণেশ্বর কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। ডিসি (দক্ষিণ) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘ওই দিনে অসংখ্য মানুষ মন্দিরে ভিড় করেন। করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই মন্দির বন্ধের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’’ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘দূরত্ব-বিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তার জন্য মহালয়ার দিন গঙ্গার ঘাটে যাওয়া কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। তবে দেবীপক্ষের সূচনায় অসংখ্য মানুষ মাতৃদর্শনে আসেন। তাঁদের বঞ্চিত করা কতটা ঠিক হবে, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
প্রতি বছরই মহালয়ার দিনে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। ভোর ৪টের সময়ে সিংহদুয়ার খোলার বহু আগে থেকেই ভিড় হতে থাকে। দরজা খোলা মাত্রই লোকজন পৌঁছে যান মন্দিরের চাঁদনি ঘাট (কেন্দ্রীয় ঘাট), শ্রীমায়ের ঘাট বা বকুলতলার ঘাট এবং পঞ্চবটী ঘাটে। স্নান সেরে পুজো দিয়ে তবেই ফেরেন তাঁরা। ভবতারিণী মন্দিরে দর্শনের জন্য দীর্ঘ লাইনও পড়ে। মন্দির চত্বর ছাড়িয়ে তা পৌঁছে যায় বালি সেতু পর্যন্ত। ভিড় সামলাতে বিশেষ পুলিশবাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি মন্দির চত্বরে পার্কিংও বন্ধ রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: মতান্তরও রয়ে গেল, পাঁচটি বিষয়ে ঐকমত্য মস্কো-বৈঠকে
আরও পড়ুন: রদবদল কংগ্রেসে, রাহুলের ইচ্ছে মেনেই
করোনা পরিস্থিতিতে এখন দক্ষিণেশ্বর মন্দির দর্শনে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে, মহালয়ার দিন ওই তিনটি ঘাটের দিকে যাওয়ার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা থাকবে। অন্য দিকে, প্রতি বছরই বেলুড় মঠের শ্রীসারদা মায়ের ঘাটে অসংখ্য লোকজন ভিড় করেন তর্পণের জন্য। কিন্তু করোনা আবহে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকায় এ বছর সেই সুযোগ থাকছে না।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, ‘‘আমরা দুঃখিত, মানুষ তর্পণ করার সুযোগ পাবেন না। কিন্তু বেলুড় মঠ চত্বরে প্রবীণ সন্ন্যাসী-সহ অনেকে রয়েছেন। তাঁদের কথা ভেবেই