ডিএ আন্দোলনে ছাড় কি পাবে উচ্চ মাধ্যমিক? ফাইল চিত্র।
ডিএ আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে চলেছেন সরকারি কর্মচারীরা। বকেয়া ডিএ (মহার্ঘ ভাতা)-র দাবিতে ধর্মঘট, অবস্থান, কর্মবিরতির পর এ বার ডিজিটাল অসহযোগের পথে হাঁটতে চলেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আগামী শনিবার থেকেই এই অসহযোগিতার পথে হাঁটতে চলেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই অসহযোগের প্রভাব পড়বে কি না, পড়লেও কতটা পড়বে, তা নিয়ে হিসাবনিকাশ চলছে। তবে সরকারি কর্মচারীদের অন্যতম সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে আশ্বাসের সুরে জানানো হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মচারীদের এই অসহযোগের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। অন্য দিকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আশা করি তাঁরা (সরকারি কর্মচারী) উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে অসহযোগ করবেন না।”
বুধবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, নিজেদের দাবি আদায়ে ডিজিটাল অসহযোগের পথে হাঁটতে চলেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সংগঠনের সদস্যরা প্রশাসনের সঙ্গে অসহযোগিতা করতে কী কী পদক্ষেপ করবেন, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বা অনুরোধ অমান্য করতে বলা হয়েছে। কাজের সময় বাদে অন্য সময় অফিসের কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। নিজস্ব ফোন, ডেটা ব্যবহার করে কাজ না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ঊর্ধ্বতনদের তৈরি করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে অবিলম্বে বেরিয়ে আসারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্কুলশিক্ষকদের একটা বড় অংশও এই আন্দোলনে শামিল হওয়ায় পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের কেউ কেউ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হওয়া নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন। কারণ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন স্কুল শিক্ষকরা। যদিও মঞ্চের অন্যতম সদস্য অনিমেষ হালদার বলেছেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকে ডিজিটাল অসহযোগের আওতা থেকে বাদ রাখছি আমরা।” আশ্বাস বনাম প্রত্যাশায় কোন পক্ষ জয়যুক্ত হয়, তাই এখন দেখার।