সপ্তাহান্তে ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাবনা। ছবি: পিক্সাবে।
সোমবার থেকে আবহাওয়ার খানিকটা বদল হয়েছিল। মঙ্গলবার পেঁজা তুলোর মতো মেঘে সেজে উঠেছিল কলকাতার আকাশ। শরতের আকাশের আভাস দিলেও তার মধ্যে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে ভিজেছিল কলকাতার বিক্ষিপ্ত এলাকা। বুধবার সকাল থেকেও ঝলমলে রোদ। কিন্তু সপ্তাহশেষে আবার ভিজতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করে, তা জানাল আলিপুর আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার উত্তর আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। তা পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর ফলে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো উপকূলে ঘেরা জেলাগুলির বিক্ষিপ্ত এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। তা ছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার কিছু অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতাও। বৃহস্পতিবারেও মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির কারণে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। সপ্তাহশেষে উত্তরবঙ্গে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
তবে সপ্তাহের মাঝে তাপমাত্রার পারদ সামান্য উপরের দিকে থাকতে পারে। আবহাওয়ায় গরম ভাবের জন্য অস্বস্তি বোধও হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। বুধবার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কলকাতার দু’-একটি জায়গায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে।
পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠতে শুরু করেছে পুজোর বাজার। কলকাতাতেও পুজোর বাজার নিয়ে দোকানদারদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। তার মধ্যে নিম্নচাপ হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিক্রেতাদের কপালে।