—ফাইল চিত্র।
অযথা আতঙ্কিত হবেন না। তবে সতর্ক থাকতে হবে। জানলা দিয়ে উঁকিঝুঁকি নয়। ঝড়ে টিন উড়ে আসতে পারে। আগের বার যেমন অভিযোগ সামনে এসেছিল, এ বার সিইএসসি আরও তৎপর। কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত। আমরা তৈরি আছি। জনগণের জন্য যতটা তৈরি থাকা প্রয়োজন, আমরা তৈরি। সতর্ক থাকুন। তবে মাস্ক পের থাকুন। ঝড় থেমে যাবে। তার পর ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিতে হবে: মমতা।
১০ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য। এক দিকে কোভিড। এই সময় আবার জ্বর, বা ডায়েরিয়ার মতো রোগ হয়। তাই ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝড় কেটে গেলেও তাণ্ডব থেকে যাবে। সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ক্লাব, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাকে বলব, আমাদের সহযোগিতা করুন। আগেরব বার সামলে দিয়েছিলাম। এ বারও যেন পারি: মমতা।
কেন্দ্র সহযোগিতা করবেন বলেছেন অমিত শাহ। ওড়িশা ৬০০ কোটি টাকা পাচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশও ৬০০ কোটির বেশি পাচ্ছে। সেখানে বাংলার জন্য শুধু ৪০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। আমি প্রশ্ন তুলেছি, আয়তন এবং জনসংখ্যার নিরিখে ওড়িশার থেকে বড় হলেও, আমাদের কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে না। বুলবুল, আমপান এবং কোভিডে আগেও কিছু পাইনি। আবার ইয়াস আসছে: মমতা।
ত্রাণশিবির গুলিতে করোনা বিধি মানার ব্যবস্থা করা হয়্ছে। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। ৪ হাজার ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া চলবে না কোনও অবস্থাতেই। ব্লক স্তরে প্রচার চালাতে হবে। আমপানের থেকেও বড় হতে চলেছে ইয়াস: মমতা
ইয়াসের প্রভাবে সবচেয়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘মালদহ, দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে। নবান্ন এবং উপান্ন কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা সারাক্ষণ নজরদারি চলবে। উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য দল তৈরি করা হয়েছে। ১৫ দিন আগে থেকে বার বার বৈঠক করেছি আমরা।’’
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় তৈরি রাজ্য, জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আগের বার ১০ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করা গিয়েছিল। তাই প্রাণহানি তেমন হয়নি। এ বারও কাজ শুরু করেছি আমরা। মানুষকে বলব, ঝুঁকি নেবেন না। আগে প্রাণে বাঁচতে হবে।’’