পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে সুনির্দিষ্ট নিম্নচাপে।
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে সুনির্দিষ্ট নিম্নচাপে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। বুধবার ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা ‘ইয়াস’-এর। তার আগেই সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। হেলিকপ্টারে করে মৎস্যজীবী ও পণ্যবাহী জাহাজকে সতর্ক করছে তারা।
এই সময়ে সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করেছে মৌসম ভবন। কিন্তু তার আগেই যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে। রবিবার বঙ্গোপসাগরের উপরে হেলিকপ্টারে করে নজরদারি চালায় উপকূলরক্ষী বাহিনী। বার বার মাইকে করে সতর্ক করে দেওয়া হয়, এই সময় যে সব মৎস্যজীবী ও পণ্যবাহী জাহাজ সমুদ্রে রয়েছে তারা যেন দ্রুত উপকূলে ফিরে আসে। সবাইকে নিকটবর্তী জেটিতে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে।
এ দিকে মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল ও অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবা। বিপর্যয়ের আগেই উপকূলের নিচু এলাকাগুলি থেকে মানুষকে বার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। খাবার, জল, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যাতে অভাব না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে কমিটিকে। কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬৫টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২০টি দল তৈরি রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তাদের কাজে নামানো হবে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তারাও উদ্ধার কাজ ও অন্যান্য সাহায্যে নেমে পড়বে বলে জানানো হয়েছে।