ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। —ফাইল চিত্র।
এক রাতের ঝড়ে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল ভিটেমাটি। লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা শহর। সেই আমপান থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার আরও সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সমতলে আছড়ে পড়ার আগে সাধারণ মানুষেরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কোভিড নিয়ে এমনিতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। তার উপর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাই কোনওরকম গুজব কানে না তোলাই শ্রেয়। বরং রেডিয়ো, টেলিভিশন এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আবহাওয়া সংক্রান্ত খবর এবং প্রশাসনিক সতর্কবার্তায় নজর রাখতে হবে।
বিপর্যয় মোকাবিলায় দু’দিন আগে থেকেই ইতিউতি ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তার ঠিক করতে দেখা গিয়েছে বিদ্যুৎকর্মীদের। বিদ্যুতের খুঁটিগুলিও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবুও নিরাপত্তার খাতিরে সাধারণ মানুষের বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন, ঝড়-বৃষ্টির দাপটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগে থেকে মোবাইল ফোন, পাওয়ার ব্যাঙ্কগুলি চার্জ দিয়ে রাখা প্রয়োজন। ভেঙে পড়া বৈদ্যুতিক স্তম্ভ, লুটিয়ে পড়া তার এবং রাস্তায় ধারালো বস্তু সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। হাতের কাছে রাখতে হবে অত্যাবশ্যক সামগ্রী, খাবার, ওষুধ এবং জল।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং মূল্যবান সামগ্রীও জল থেকে নিরাপদে সরিয়ে রাখা উচিত। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলয়া দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর, ৮৯০০৭৯৩৫০৩ এবং ৮৯০০৭৯৩৫০৪। ২৫ মে থেকে হেল্পলাইন নম্বর দু’টি চালু হবে। ওই দিন থেকেই কন্ট্রোল রুমে থাকবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিদ্যুৎ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস সুরেশকুমার ও বিদ্যুৎ বণ্টন বিভাগের সিএমডি-রা। হেল্পলাইনে কোনও অভিযোগ পেলে তা সরাসরি অধস্তন কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হবে।