বাড়ি বাড়ি চলছে প্রচার। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর মোকাবিলায় রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকার মতোই ডায়মন্ড হারবারেও চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। রবিবার দুপুরে হুগলি নদীতে মহড়া করল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্ক করতে প্রচারে নামেন মহকুমা পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। পরে মহকুমার ৭ বিধানসভার বিধায়ক এবং পুরপ্রশাসকদেরকে নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হয় ‘শুভান্ন’ সার্কিট হাউসে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা শেখ, মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহা, এসডিপিও শান্তনু সেন, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় প্রমুখ। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলার মহকুমা প্রশাসনের প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন বঙ্কিম। মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা বলেন, “জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে ‘ইয়াস’-এর মোকাবিলায় সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ হচ্ছে।”
জনসাধারণকে সতর্ক করতে ফলতা, ডায়মন্ড হারবার, মন্দিরবাজার, কুলপি, রায়দিঘি, মগরাহাট পূর্ব ও মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত প্রধানেরা স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ও মাইকের মাধ্যমে প্রচার করেন। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার হাইস্কুলকে অস্থায়ী ফ্লাড সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সেখানে রাখা হবে। এ ছাড়াও এলাকার কলেজ, কমিউনিটি হল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
এলাকার নিভৃতবাসে থাকা কোভিড আক্রান্ত বাসিন্দাদের জন্যও আলাদা ভবনে থাকছে অক্সিজেন ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। বিডিও অফিসগুলিতে খাবার, বেবিফুড, পানীয় জল ও ওষুধ মজুত করে রাখা হচ্ছে।
বিপর্যয়ের মোকাবিলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি সারা বলে দাবি মহকুমা প্রশাসনের। রবিবার সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ঝড়ের আগে সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। আশা করি, কেউ সমস্যায় পড়বেন না।”