মে মাসে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়। ফাইল চিত্র।
মে মাসে কি আরও একটা ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে? তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে মৌসম ভবন। আগামী ৬ মে, অর্থাৎ, শনিবার দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তার প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যা থেকেই পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশঙ্কা সত্যি করে শেষমেশ ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে, তার নাম ‘মোচা’ হবে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, তার অভিমুখ কোন দিকে হবে কিংবা কোথায় আঘাত হানবে, তা এখনই জানা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের উপর কতটা প্রভাব পড়বে, সে ব্যাপারেও এখনও স্পষ্ট নয়।
গত কয়েক বছরে মে মাসে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ২০২০ সালে ধেয়ে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’। যার তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। লন্ডভন্ড হয়েছিল কলকাতাও। পরের বছর, ২০২১ সালে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ২০২২ সালের মে মাসে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ওই বছরের অক্টোবর মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। আশঙ্কা সত্যি বলে, আবার মে মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে।
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ নিয়ে তৎপর হয়েছে ওড়িশা প্রশাসন। মঙ্গলবার এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ওড়িশার একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এলে পরিস্থিতি কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, সে নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।