Cyclone Dana

‘ডেনা’ শক্তি হারিয়ে এখন নিম্নচাপ অঞ্চল, আর কত ক্ষণ থাকবে তার প্রভাব? বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশার উপকূলে ‘ল্যান্ডফলের’ পর ‘ডেনা’ পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে এগিয়েছে। তা শক্তি হারিয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। পরে আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপ অঞ্চলের আকার নেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:১৯
Share:

মেঘ কেটে রোদ উঠেছে দিঘার আকাশে। —ফাইল চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’ শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এখন সাধারণ নিম্নচাপ অঞ্চল রূপে তা অবস্থান করছে উত্তর ওড়িশায়। তবে আর বেশি ক্ষণ তার প্রভাব থাকবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। নিম্নচাপ অঞ্চলের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে শনিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশার উপকূলে ‘ল্যান্ডফলের’ পর ‘ডেনা’ ক্রমশ পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে এগিয়েছে। তা শক্তি হারিয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। পরে আরও দুর্বল হয়ে সাধারণ নিম্নচাপের আকার নেয়। শনিবার সকালের মধ্যে নিম্নচাপের আরও শক্তিক্ষয় হয়েছে। বর্তমানে তা উত্তর ওড়িশায় নিম্নচাপ অঞ্চল হয়ে রয়েছে। এর প্রভাবে ওড়িশায় বৃষ্টি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তি হারিয়ে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে ‘ডেনা’ থেকে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ অঞ্চল, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উল্লেখ্য, ‘ল্যান্ডফলের’ পর ‘ডেনা’ উত্তরে কিছুটা এগিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আগেই শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়।

Advertisement

উত্তর ওড়িশায় নিম্নচাপ অঞ্চলের প্রভাবে শনিবার বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে সেই পূর্বাভাস রয়েছে। এ ছাড়া, কলকাতা-সহ দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে দু’একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে শনিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে আর কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমবে সর্বত্র। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও কোথাও নতুন করে সতর্কতা জারি করেনি হাওয়া অফিস। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে শনিবার বিকেল পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার উপকূলে ভিতরকণিকা এবং ধামরার মাঝে আছড়ে পড়ে ‘ডেনা’। সেই সময়ে তা ছিল ‘অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়’। তার প্রভাবে উপকূলে হাওয়ার গতি ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তবে আশঙ্কা থাকলেও বাংলায় তেমন প্রভাব ফেলেনি ‘ডেনা’। যদিও ‘ল্যান্ডফলের’ পর কলকাতায় শুক্রবার সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে শহরের আকাশ পরিষ্কার। ওড়িশাতেও এই ঝড়ের প্রভাবে কোনও প্রাণহানি হয়নি বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement